India-Canada Relationship

কানাডার প্রতিবেদন তুলে ট্রুডোকে তোপ তারুরের

প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাংসদ তথা প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শশী তারুর স্পষ্টতই কানাডা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি কানাডায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সমাজমাধ্যমে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪৬
Share:

শশী তারুর। —ফাইল চিত্র।

বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যাকাণ্ডে ভারত যুক্ত বলে কানাডার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল আন্তর্জাতিক মহল তথা দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতে আজ প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাংসদ তথা প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শশী তারুর স্পষ্টতই সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি কানাডায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সমাজমাধ্যমে। ওই প্রতিবেদনে জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পদক্ষেপগুলির চরম সমালোচনা করে বলা হয়েছে, 'কানাডা খলিস্তানি জঙ্গিদের স্বর্গোদ্যান হয়ে উঠেছে।' সেটি পোস্ট করে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, "এই প্রতিবেদনটি সহজেই বুঝিয়ে দেয়, কেন চলতি বিতর্কে কানাডার কোনও নৈতিক উচ্চ অবস্থান থাকতে পারে না।"

Advertisement

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'শিখ উগ্রপন্থী হরদীপ সিংহ নিজ্জর ১৯৯৭ সালে একটি জাল পাসপোর্ট নিয়ে কানাডা এসেছিলেন। তার পর কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে তিনি নিজেকে ধর্মগুরু হিসাবে তুলে ধরেন এবং পাকিস্তানে যান। সেখানে গিয়ে শাস্তিপ্রাপ্ত জঙ্গিদের সঙ্গে মেলামেশা করেন, একে-৪৭ নিয়ে ছবিও তোলেন। ভারতে হিংসার ডাকও দেন। ২০২০ সালে ভারত তাকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করে।' বলা হয়েছে, 'কানাডা সরকারের উচিত নিজেদের কিছু কঠিন প্রশ্ন করা। কী ভাবে তাদের দেশ শাস্তিপ্রাপ্ত এবং উঠতি সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গ হয়ে উঠল? কানাডাবাসীর উচিত তাদের সরকারের কাছে জবাব চাওয়া, কেন তাদের সরকার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ঘটক হয়ে উঠছে?' ট্রুডো শিখদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

অন্য দিকে খলিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার চেষ্টার মামলায় ভারতের প্রাক্তন সরকারি কর্তা বিকাশ যাদবের নামে আমেরিকান আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে। আজ সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, গত কুড়ি বছরে ভারতের করা ৬১টি প্রত্যর্পণের আবেদন পড়ে রয়েছে হোয়াইট হাউসের দফতরে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। একই ভাবে বিদেশ মন্ত্রকের কথায়, কানাডার কাছেও ২৬টি প্রত্যর্পণের (লরেন্স বিশ্নোই গ্যাং-সহ) আবেদন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমস্ত গোপন তথ্য দেওয়া সত্ত্বেও তারা এক পা-ও বাড়ায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement