মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিরোধী জোট ইন্ডিয়া আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত নিলেও পাঁচ রাজ্যে কোথাও শরিক দলগুলির আসন সমঝোতা হয়নি। আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজনৈতিক জীবনের ৫০ বছর নিয়ে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিরোধী নেতারা ইন্ডিয়া জোটে তাঁর দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিলেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সামনেই।
খড়্গেকে নিয়ে বইয়ে কংগ্রেসের পাশাপাশি সব বিরোধী দলের নেতানেত্রী, এমনকি বিজেপি নেতারাও কলম ধরেছেন। সেই বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে আজ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, সব থেকে বড় বিরোধী দলের প্রধান হিসেবে খড়্গেরই দায়িত্ব ইন্ডিয়া জোটকে এককাট্টা রাখা। একই কথা বলেন ডিএমকে নেতা টি আর বালু। ইয়েচুরি বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপড়েন হয়েছে। কিন্তু খড়্গে কেন আসন সমঝোতা করা যাচ্ছে না, তা সততার সঙ্গে বলেছেন। এটাই তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা।’’ আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, ‘‘ভাল দিক হল, খড়্গে প্রতিটি ক্ষেত্রেই গণতন্ত্র মেনে চলেন। সংসদের অধিবেশনের সময় রোজ সকালে বিরোধীদের রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা খড়্গের ঘরে বৈঠক হয়। সেখানে উনি সকলের কথা শোনেন। আমি লালুপ্রসাদ, তেজস্বী যাদবের তরফ থেকে ইন্ডিয়া জোটে আমাদের দায়বদ্ধতা জানাচ্ছি।’’
এই বইয়ে খড়্গেকে নিয়ে কলম ধরেছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা থাকার সময়ও খড়্গে বিরোধীদের সমন্বয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। গান্ধী মূর্তির সামনে অনেক ধর্নায় তিনি তৃণমূলকে এগিয়ে দিয়েছেন। দিয়ে সকলেই বলেছেন, কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এই বইতে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন, খড়্গের রাজনৈতিক জীবনের চূড়োয় ওঠা এখনও বাকি। খড়্গেই বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন।
খড়্গে নিজে আশা প্রকাশ করেছেন, বিরোধীরা নিজেদের মতভেদ দূরে সরিয়ে রেখে এককাট্টা হয়ে লোকসভা ভোটে লড়বে। বই প্রকাশের পরে সনিয়া গান্ধী বলেন, খড়্গে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। কারণ দেশে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা সমস্ত সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ ভাঙছে। সাংগঠনিক নেতা হিসেবে তিনিই এই সময়ে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য।