Maharashtra Assembly Election 2024

ভয় দেখানোয় অজিতের দলবদল, দাবি রমেশের

অবিভক্ত এনসিপি দলের নেতা প্রয়াত আর আর পাটিলের ছেলের বিরুদ্ধে টাসগাঁও কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করেন অজিত পওয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:০২
Share:

জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

কিসের ভয় দেখিয়ে এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারকে এনডিএ শিবিরে যোগদানে বাধ্য করা হল, তা নিয়ে সবিস্তার তদন্তের দাবি করলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Advertisement

অবিভক্ত এনসিপি দলের নেতা প্রয়াত আর আর পাটিলের ছেলের বিরুদ্ধে টাসগাঁও কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করেন অজিত পওয়ার। ২০০৯-২০১৪ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনসিপি যে সরকার গড়েছিল, তাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আর আর পাটিল। আর সেচমন্ত্রী ছিলেন অজিত পওয়ার। সে সময়ে অজিতের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। দু’জনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও তদন্তের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাটিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশেরদাবি, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস সেই ফাইলের সূত্র ধরে অজিতকে এনডিএ সরকারে যোগদানের জন্য ‘ব্ল্যাকমেল’ করেন।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আজ দাবি করেন, সাঙ্গলিতে প্রচারে গিয়ে অজিত বলেছেন, কী ভাবে আর আর পাটিল তাঁকে বিপদে ফেলেছিলেন, যার জন্য তিনি এনসিপি ভেঙে বিজেপিতে যোগদান করতে বাধ্য হন।

Advertisement

রমেশ দাবি করেন, অজিত নাকি প্রচারে বলেছেন, সেচ কেলেঙ্কারি মামলার ফাইলে আর আর পাটিল কী লিখে গিয়েছিলেন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস অজিতকে তা-ও দেখান এবং বার্তা দেওয়া হয়, হয় সরকারে যোগদান কর, তা না হলে তদন্তের মুখোমুখি হও। জয়রামের কথায়, ‘‘এ ভাবে সরকারের গোপন ফাইল কাউকে দেখানো আইনবিরুদ্ধ। এ জন্য ফডণবীসের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানাচ্ছে কংগ্রেস।’’

জয়রামের কথায়, ‘‘বিজেপিতে যোগ দিলেই নেতাদের সব কেলেঙ্কারি সাফ হয়ে যায়। বিজেপির ওয়াশিং মেশিন গোটা দেশে সক্রিয়, আর মহারাষ্ট্রে তা সবথেকে বেশি। অথচ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সময়ে এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি সরব ছিলেন। এখন সেই ‘ন্যাচারালি কোরাপ্ট পার্টি’ (এনসিপি) বিজেপি সরকারের অন্যতম শরিক।’’

এ নিয়ে আজ কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দলের বক্তব্য, ভোটের মুখে এ ধরনের অভিযোগ ওঠেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement