কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। কিন্তু আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ হাতছাড়া হওয়ার। এ বার সেই কারণে কংগ্রেস তেলঙ্গানা থেকে এক জন সাংসদ সংখ্যা বাড়িয়ে লোকসভার মতো রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদও ধরে রাখতে চাইছে। তাই বিআরএস থেকে কে কেশব রাও কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে তিনি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এই আসনে উপনির্বাচন হলে কংগ্রেস জিতবে। কেশব রাওকে তেলঙ্গানায় ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান পদমর্যাদা দিয়ে কংগ্রেস সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এ বার ওই আসন থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে জিতিয়ে আনা হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
রাজ্যসভা বা লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ পেতে হলে বৃহত্তম বিরোধী দলের কাছে মোট আসনের অন্তত ১০ শতাংশ আসন থাকা দরকার। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের ২৮ জন সাংসদ ছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে কে সি বেণুগোপাল ও দীপেন্দ্র সিংহ হুডা জিতে আসায় তাঁদের রাজ্যসভার পদ গিয়েছে। কিন্তু ওই দুই আসনে উপনির্বাচন হলে কংগ্রেস জিততে পারবে না। ফলে কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ২৬-এ নেমে এসেছে। এ দিকে কংগ্রেসের হাতে বিরোধী দলনেতার পদ থাকার জন্য ২৫টি আসন দরকার। রাজ্যসভার মোট আসনের ১০ শতাংশ। আর দু’একটি কমলেই খড়্গের হাত থেকে বিরোধী দলনেতার পদ হাতছাড়া হতো। তাই তেলঙ্গানা থেকে বিআরএস-এর ভাগের আসন কমিয়ে কংগ্রেস নিজেদের আসন বাড়ানোর রণকৌশল নিয়েছে।
গত দশ বছর বিরোধী আসনে থাকলেও কংগ্রেসের হাতে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ ছিল না। কারণ ২০১৪ ও ২০১৯-র এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস লোকসভার মোট আসনের ১০ শতাংশ আসন জিততে পারেনি। এ বার লোকসভায় কংগ্রেস ৯৯টি আসন জেতার পরে রাহুল গান্ধী বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। আজ লোকসভায় কংগ্রেসের উপ-দলনেতা হিসেবে ফের গৌরব গগৈকে নিয়োগ করা হয়েছে। গৌরব ২০২০ থেকেই ওই পদে ছিলেন। আগের লোকসভার মতোই কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক পদে কে সুরেশ ও সচেতক পদে মানিকম টেগোরকে নিয়োগ করা হয়েছে। অন্য সচেতকের পদে আনা হয়েছে বিহারের নেতা মহম্মদ জাভেদকে। গত লোকসভায় কংগ্রেসের দ্বিতীয় সচেতক রভনীত সিংহ বিট্টু ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন।