বিহার কংগ্রেসে ভাঙন!

কংগ্রেস সূত্রে খবর, সদানন্দকে পূর্বতন মহাজোট সরকারে মন্ত্রী করা হয়নি। তা নিয়ে তাঁর ক্ষোভ রয়েছে। দলীয় কয়েক জন নেতার দাবি, তাঁকে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দিয়েছে জেডিইউ। তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন প্রবীণ কুর্মি নেতা। তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত বৈঠক করছেন ‘বিক্ষুব্ধ’ কংগ্রেস বিধায়করা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০৫:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিহারে ভাঙনের মুখে কংগ্রেস পরিষদীয় দল— এমন জল্পনাই ছড়িয়েছে রাজ্যে। দলের অন্দরমহলের খবর, পরিস্থিতি সামলাতে তৎপর নয়াদিল্লির কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চৌধুরী, বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা সদানন্দ সিংহকে।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রে খবর, সদানন্দকে পূর্বতন মহাজোট সরকারে মন্ত্রী করা হয়নি। তা নিয়ে তাঁর ক্ষোভ রয়েছে। দলীয় কয়েক জন নেতার দাবি, তাঁকে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দিয়েছে জেডিইউ। তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন প্রবীণ কুর্মি নেতা। তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত বৈঠক করছেন ‘বিক্ষুব্ধ’ কংগ্রেস বিধায়করা। সদানন্দের বাড়িতে গিয়েছেন জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ললন সিংহও। তবে দুই নেতা এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।

সদানন্দের পাশাপাশি লালুপ্রসাদ ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক দিলীপ চৌধুরীকেও ডেকে পাঠিয়েছেন সনিয়া। কংগ্রেস শিবিরের খবর, রাজ্যে বর্তমানে দলের ২৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৩ জন রয়েছেন সদানন্দের সঙ্গে। তবে দলবদল করতে গেলে কমপক্ষে ১৮ জন বিধায়ক প্রয়োজন।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোকবাবু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ তাঁরও। সম্প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং জে পি অগ্রবাল বিহার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে বিধায়ক ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে অশোকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। লালুপ্রসাদের সঙ্গে জোটের নিয়েও অনীহা রয়েছে কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়কের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement