Congress

জেলায় নজর কংগ্রেসের

কংগ্রেস সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই কংগ্রেসের জেলা সভাপতিদের নিয়ে দিল্লিতে সম্মেলন করা হবে। সেখানে দেশের ৭৮৮টি জেলার কংগ্রেস সভাপতিদের দিল্লিকে ডাকা হবে। গত ১৫ বছরে জেলা সভাপতিদের নিয়ে কংগ্রেসের সম্মেলন হয়নি।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ০৯:০৮
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে জয় নিয়ে নিশ্চিত থাকার পরেও কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছিল। তার ছয় মাসের মধ্যে হরিয়ানার পুর ভোটেও কংগ্রেসের হারে শুধু হরিয়ানা নয়, গোটা দেশেই কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতার করুণ ছবি আরও একবার প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনের ভোল পাল্টানোর মরিয়া চেষ্টায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড দলের সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যগুলির ভারপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে ফের মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে চলেছে।

Advertisement

১৮ মার্চের ওই বৈঠকে দলের জেলা কমিটিগুলিকে ঢেলে সাজিয়ে কী ভাবে সংগঠন মজবুত করা যায়, তার রাস্তা খোঁজা হবে। গত এক মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক হচ্ছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যের পর্যবেক্ষকদের বৈঠক হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে এত ঘন ঘন বৈঠকের উদাহরণ নেই।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই কংগ্রেসের জেলা সভাপতিদের নিয়ে দিল্লিতে সম্মেলন করা হবে। সেখানে দেশের ৭৮৮টি জেলার কংগ্রেস সভাপতিদের দিল্লিকে ডাকা হবে। গত ১৫ বছরে জেলা সভাপতিদের নিয়ে কংগ্রেসের সম্মেলন হয়নি। শেষ এই মাপের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে। ২০০৯-এর পরে আর কোনও লোকসভা ভোটে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি।

Advertisement

আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল আমদাবাদে কংগ্রেসের জাতীয় অধিবেশন বসছে। জেলা সভাপতিদের সম্মেলন তার আগেই করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে অধিবেশনের পরে জেলা সভাপতিদের সম্মেলন ডাকার পরিকল্পনা হচ্ছে। তা ছাড়া বহু রাজ্যের অনেক জেলাতেই নতুন সভাপতি নিয়োগ বাকি। হরিয়ানার মতো অনেক রাজ্যে আবার গত দশ বছর ধরে জেলা কমিটিরই অস্তিত্ব নেই।

কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, বেলগাভিতে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খড়্গে জেলা স্তরের সংগঠন মজবুত করার দিকে জোর দেন। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে কংগ্রেসের সংগঠনে জেলা কমিটিগুলিই সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধান ভূমিকা নিত। ১৯৬৭ সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলায়। জেলা কমিটিগুলি রাজ্য নেতৃত্বের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে। আর রাজ্য নেতৃত্ব দিল্লিতে কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের নির্দেশ মেনে চলতে থাকেন। এখন বিজেপির সঙ্গে লড়তে গিয়ে তার সমস্যা টের পাওয়া যাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপির বিরুদ্ধে যে হাওয়া তৈরি হয়েছিল, তা মিইয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় কংগ্রেসকে হারানোর পরে দিল্লি জিতে বিজেপি ছন্দে ফিরেছে। কংগ্রেসের নেতারা মানছেন, ঝাড়খণ্ড বা জম্মু-কাশ্মীরে বিরোধী জোট জিতলেও তাতে কংগ্রেস বিশেষ ভূমিকা নিতে পারেনি। নিচু স্তরে সংগঠনের এই দুর্বলতাই হরিয়ানার পুর ভোটে প্রমাণিত হয়েছে। দশটি পুর আসনের নির্বাচনে কংগ্রেস একটিতেও জিততে পারেনি। বিজেপি যে ব্যবধানে মেয়র নির্বাচনে জিতেছে, কংগ্রেস তত ভোটই পায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement