পটনা থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি।—ফাইল চিত্র।
শরিকদের ভরসায় নয়, নিজেদের জোরেই পটনার গাঁধী ময়দানে রাহুল গাঁধীর সভা করতে চাইছে কংগ্রেস। ৩ ফেব্রুয়ারির এই সভায় তেজস্বী থেকে শুরু করে উপেন্দ্র কুশওয়াহা, সকলেই হাজির থাকবেন। সভার কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় দলের নেতাদের লোক আনার ‘টার্গেট’ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের জানিয়েছেন, নিজেদের লোক দিয়েই ভরাতে হবে গাঁধী ময়দানের সভা। বেশি সংখ্যায় কৃষকদের হাজির করানোর দায়িত্বও দিয়েছেন রাহুল।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রতিটি ব্লকের দায়িত্ব রাজ্যস্তরের এক এক নেতাকে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা জেলার দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রতিটি জয়ী বিধায়ককে কম করে পাঁচ হাজার লোক নিজের কেন্দ্র থেকে আনার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে প্রতিটি জেলা থেকে কম করে পাঁচ হাজার লোক আনতে হবে জেলা সভাপতিদের। দলের পুরনো কর্মী-সমর্থকদের সভায় হাজির করানোর চেষ্টা করছেন নেতারা। ব্লকে ব্লকে সভা করা হচ্ছে। গ্রাম থেকে লোক বেশি আনার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ২২টিতে লড়তে চাইছে আরজেডি। তাতেই নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা বিষয়টি হাইকম্যান্ডকে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৫টি আসন দাবি করেছে কংগ্রেস। সেই দাবির সমর্থনেই গাঁধী ময়দান ভরাতে চাইছে রাহুল গাঁধীর দল। লোক জড়ো করতে পারলে আরজেডি-সহ জোটের বাকি দলগুলির উপরেও চাপ তৈরি করা যাবে বলে মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। শুধু লোকসভা নয়, ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেও তৈরি হতে চাইছেন কংগ্রেস নেতারা।
প্রদেশ সভাপতি মদনমোহন ঝা’র কথায়, ‘‘রেকর্ড পরিমাণ ভিড হবে বলে আশা করছি আমরা।’’ তবে রাহুলের সভাকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘দেখি পটনায় এসে হাটে কী হাঁড়ি ভাঙেন তিনি!’’