৫০ হাজার কোটির ‘দুর্নীতি’ হয়েছে মনমোহন জমানায়! দাবি বিজেপির। ফাইল চিত্র।
আদানি এবং রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ প্রসঙ্গে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি যখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করছে, তখন প্রত্যাঘাতের রাস্তায় হাঁটল পদ্ম শিবিরও। রবিবার দুপুরে কেন্দ্রের শাসকদলের তরফে কংগ্রেস আমলের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে একটি ৩ মিনিটের ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। এই ভিডিয়োয় নিশানা করা হয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ১ এবং ইউপিএ ২ সরকারকে। মনমোহন সিংহ সরকারের আমলে দেশে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই ভিডিয়োয়। দুর্নীতিগুলির জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়েছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে।
বিজেপির তরফে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস আমলের দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভিডিয়ো প্রকাশ করে যাবে তারা। গোটা প্রচারসূচির নাম রাখা হয়েছে ‘কংগ্রেস ফাইলস’। ইউপিএ আমলে কয়লা কেলেঙ্কারি, টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি, কমনওয়েলথ গেমস কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর চলেছিল। বিজেপির তরফে প্রকাশিত ভিডিয়োতেও এগুলির উল্লেখ আছে। রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করা হয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ৪৮,২০,৬৯,০০,০০,০০০ টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
কিছু দিন আগেই ইডি এবং সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, সিপিএম-সহ মোট ১৪টি দল। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “দেশে ভ্রষ্টাচারী বাঁচাও আন্দোলন চলছে।” বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, বেছে বেছে বিরোধী দলের নেতানেত্রীদেরই নিশানা করছে ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলি। পাল্টা বিজেপির তরফে বলা হয়, দুর্নীতিগ্রস্ত দলগুলি তদন্তের হাত থেকে বাঁচতেই এ সব দাবি করছে। এই আবহে ভিডিয়ো প্রকাশ করে ‘দুর্নীতি’র খতিয়ান তুলে ধরাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানায়নি কংগ্রেস।