বড়ো স্বশাসিত পরিষদে বিরোধী আসনে বসতে রাজি কংগ্রেস। কিন্তু, নির্বাচনের আগে বা পরে বিপিএফের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত তারা মেলাবে না।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত আজ বলেন, “বিপিএফের সঙ্গে মিত্রতা ছিন্ন হওয়ার পর, পরিষদ নির্বাচনের জন্য দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীরা প্রবল উত্সাহে ঝাঁপিয়েছেন। আমরা ১২ থেকে ১৫টি আসন পেতে পারি। বিপিএফের সঙ্গে ফের বন্ধুত্বের সম্ভাবনা নেই।” এআইইউডিএফ-ও এ বার বড়ো স্বশাসিত পরিষদের ভোটে ৮টি আসনে লড়ছে। অঞ্জনবাবুর মতে, এআইইউডিএফ ভোটে অংশ নিলে তারা কংগ্রেসের ভোট কাটবে। তা বিপিএফ বা বিজেপির পক্ষেই ভাল। সে ক্ষেত্রে দু’পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়ার সন্দেহ তীব্রতর হচ্ছে।
গত বছর শাসক দলের সঙ্গে ৮ বছরের পুরনো সম্পর্ক ভাঙে বিপিএফ। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১২ জন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ৮ এপ্রিল বড়ো স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচন। তা বড়ো প্রধান ৫টি জেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বশাসিত পরিষদের ৪০টি আসনেই বিপিএফের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। ৪০টির মধ্যে ৩২টি আসনে জিতে গত বার পরিষদ দখল করেছিল ‘বড়োল্যান্ড পিপল্স ফ্রন্ট’। সে বার কংগ্রেস ৩টি, বিপিপিএফ ও ইউপিডিএফ ১টি করে ও নির্দল প্রার্থীরা ৩টি আসনে জেতে। বিজেপি ও অগপ কোথাও জিততে পারেনি। তবে, বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। লোকসভা ভোটে ভাল ফল করার পর, রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বেড়েছে। বিপিএফ-এর বেশ কয়েক জন বড় নেতা ও সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। নির্বাচন দফতর সূত্রে খবর, ৩৩১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
আসুর শীর্ষ নেতাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে দত্ত বলেন, “আসু নেতাদের কংগ্রেসে স্বাগত। আমরা নতুন মুখ চাইছি। ওঁরা বা অন্য যে কোনও দলের নেতা-সদস্যরা গাঁধীর আদর্শে বিশ্বাসী হলে কংগ্রেসে আসতে পারেন।”