প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা উপনির্বাচনের আগে ওয়েনাড়ের বাসিন্দাদের খোলা চিঠি লিখলেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেই চিঠির বড় অংশ জুড়ে রইল ওয়েনাড়ের ভূমিধস এবং সেখানকার মানুষের সাহসিকতার প্রসঙ্গ। চিঠির শেষে সেখানকার সম্ভাব্য জনপ্রতিনিধি হিসাবে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানালেন প্রিয়ঙ্কা।
আগামী ১৩ নভেম্বর ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়, দুই কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। উভয় কেন্দ্রেই জয়ী হন তিনি। পরে রায়বরেলী আসনটি রেখে ওয়েনাড় কেন্দ্রটি ছেড়ে দেন তিনি। তাই ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। দাদা রাহুলের স্থানে এ বার সেখানে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা।
চিঠির শুরুতেই ভূমিধসের সময় ওয়েনাড় সফরে যাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন প্রিয়ঙ্কা। ‘আমার প্রিয় ওয়েনাড়ের ভাই ও বোনেরা’ দিয়ে শুরু হওয়া চিঠিতে তিনি লেখেন, “আমি দেখেছি ভূমিধসের কারণে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। আমি বহু শিশুকে দেখেছি, যারা তাদের প্রিয় মানুষদের হারিয়েছে। বহু মাকে দেখেছি, যাঁদের সন্তান এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা প্রকৃতির রোষে হারিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ভাগ্যের এই পরিহাস সত্ত্বেও যা আমাকে মুগ্ধ করেছে, তা হল আপনাদের অসীম সাহস এবং যূথবদ্ধ যাপন।”
প্রিয়ঙ্কা যদি ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন, তবে প্রথম বারের জন্য জনপ্রতিনিধি হবেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রিয়ঙ্কা ওয়েনাড়বাসীর উদ্দেশে লেখেন, “এই সফরে আপনারাই আমার পথপ্রদর্শক এবং শিক্ষক।” ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ তথা দাদা রাহুলের কাছ থেকে কেন্দ্রটি সম্পর্কে তিনি অনেক কিছু জেনেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি আরও জানান, মহিলারা তাঁর কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার মূল লড়াই প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যন মোকেরি এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসের বিরুদ্ধে। নব্যা কোঝিকোড় পুরসভার ভোটে দু’বার জয়ী হয়েছেন। গত এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে ওয়েনাড়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সিপিআইয়ের প্রার্থী ছিলেন দলের জাতীয় স্তরের নেত্রী অ্যানি রাজা। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই ভয়াবহ ভূমিধসে ওয়েনাড়ে কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ধসবিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে গিয়েছিলেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা। এ বার সেই প্রসঙ্গ উঠে এল প্রিয়ঙ্কার চিঠিতেও।