ছবি: পিটিআই
প্রধান বিচারপতির পদে দীপক মিশ্রের মেয়াদ শেষ হচ্ছে অক্টোবরে। এর পরে প্রথা মেনে এখনকার দ্বিতীয় প্রবীণতম বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে ওই পদে বসানো হবে কি না তা নিয়ে এখনই হাতের তাস দেখাতে নারাজ মোদী সরকার। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র মোদী সরকারের চাপের সামনে মাথা নোয়াচ্ছেন— কার্যত এই অভিযোগ তুলেই চার প্রবীণতম বিচারপতি বিদ্রোহ করেছিলেন। তাতে নেতৃত্বে দেন বিচারপতি গগৈ। সরকার কি তাঁকে প্রধান বিচারপতির পদে মেনে নেবে? এই প্রশ্নে আইনমন্ত্রী সোমবার বলেন, ‘‘প্রশ্নটা কাল্পনিক। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রথা স্পষ্ট। প্রধান বিচারপতিই উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করেন। তিনি সুপারিশ করলে আমরা আলোচনা করব। সরকারের অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারও নেই।’’ বরং বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে মাপকাঠি প্রশ্ন তুলে আইনমন্ত্রী এ দিনও বল ঠেলেছেন বিচার বিভাগের কোর্টে।
বিচারপতি নিয়োগের নতুন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিচার বিভাগের সঙ্গে মোদী সরকারের দর কষাকষি চলছে। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের মত হল, কোন মাপকাঠির ভিত্তিতে বিচারপতি হিসেবে নাম সুপারিশ করা হচ্ছে, তা-ও নতুন প্রক্রিয়ার নথিতে স্পষ্ট লেখা থাকা দরকার।’’ সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি করার সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। কেন্দ্র তা ফেরত পাঠিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিচারপতি জোসেফ উত্তরাখণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন খারিজ করেছিলেন বলেই কেন্দ্রের আপত্তি। অবস্থানে অনড় আইনমন্ত্রী এ দিন কিন্তু সামনে রাখলেন মাপকাঠির প্রশ্নটিকেই।