পুজোর সময় খাদ্য সুরক্ষার চাল থেকে বঞ্চিত হতে পারেন করিমগঞ্জের কয়েক লক্ষ মানুষ। করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির সদ্যপ্রাক্তন সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য আজ সাংবাদিক বৈঠকে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, সরকারি আধিকারিক, রেশন ডিলারদের গড়িমসিতে ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, করিমগঞ্জ জেলার ৩৩টি সমবায় সমিতির মধ্যে ২৩টি সমিতি অগস্ট মাসে খাদ্য সুরক্ষার চাল তোলেনি। জেলা প্রশাসন এ নিয়ে সেই সব সমিতিগুলিকে শো-কজ করেছে।
রেশন ডিলার ও সমবায় সমিতির বক্তব্য, খাদ্য সুরক্ষার চাল তুলে তাঁদের ১ টাকাও লাভ হয় না। উল্টে তাঁদের খরচ হয়। চাল পরিবহণ ও বিক্রির লভ্যাংশ ডিলারদের অ্যাকাউন্টে যাওয়ার কথা থাকলেও, তা করা হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তাঁরা খাদ্য সুরক্ষার চাল তোলা বন্ধ করেছিলেন। সম্প্রতি সরকার তাঁদের ২ মাসের টাকা দিয়েছে। তার পর সেপ্টেম্বর মাসের চাল তোলার জন্য ৩৩টি সমবায় সমিতি টাকা জমা দিয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ চাল তাঁরা পেয়েছেন। এ নিয়ে অসম সরকারের হস্তক্ষেপ চায় প্রশাসন। ১৬ সেপ্টেম্বর জোগান বিভাগের যুগ্মসচিব খাদ্য নিগমকে চিঠি পাঠিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাল তোলার সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন। অভিযোগ, খাদ্য নিগম ওই চিঠিতে গুরুত্ব দেয়নি। ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে খাদ্য নিগমের তরফে জানানো হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাল তোলা যাবে করিমগঞ্জে। করিমগঞ্জে বকেয়া ৪০ হাজার কুইন্টাল চাল ওই তারিখের মধ্যে তুলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে ওই পরিমাণ চাল তুলতে পারেনি সমবায় সমিতিগুলি। বিজেপির বক্তব্য, এ সবের প্রভাব পড়বে পুজোয়। বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি আরও বলেন, সমবায় সমিতিগুলি খাদ্য সুরক্ষার চাল তুললেও সেগুলি বণ্টন করতে পারবে না। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি সরকারকে চাপে রাখতে চক্রান্ত করছে এক চক্র।’’