সঙ্ঘের চাপ, খেতাব নিয়ে জলঘোলা

এক দিকে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ আপত্তি তুলেছে এই পুরস্কার নিয়ে। সংগঠনের নেতা অশ্বিনী মহাজন প্রকাশ্যেই বলেছেন— এই পুরস্কার গ্রহণ করাটা উচিত হবে কি না, বিবেচনা করে দেখুন প্রধানমন্ত্রী।   

Advertisement

অগ্নি রায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৪
Share:

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠান। —ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ (বিএমজিএফ)-এর পক্ষ থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জন্য পুরস্কার পাওয়ার কথা। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ভারত এবং আমেরিকা উভয় পক্ষেই বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে এই পুরস্কারের বিষয়টি নিয়ে।

Advertisement

এক দিকে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ আপত্তি তুলেছে এই পুরস্কার নিয়ে। সংগঠনের নেতা অশ্বিনী মহাজন প্রকাশ্যেই বলেছেন— এই পুরস্কার গ্রহণ করাটা উচিত হবে কি না, বিবেচনা করে দেখুন প্রধানমন্ত্রী।

আবার আমেরিকার আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও নাগরিক শিবির থেকে মোদীকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য গেটস ফাউন্ডেশন-এর সমালোচনা করা হচ্ছে। অসমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করা এবং কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ফাউন্ডেশনকে খোলা চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, মোদীকে এই খেতাব দেওয়া হলে ভুল সংকেত যাবে। সূত্রের খবর, সফরের কর্মসূচিতে এই অনুষ্ঠান এখনও রয়েছে।

Advertisement

তা হলে এই জলঘোলার জেরে কি বাতিল হয়ে যাবে এই খেতাব প্রদান অনুষ্ঠান? জানতে চাওয়া হলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফর শুরু হবে ২১ তারিখ। তার কিছু আগে এ ব্যাপারে জানানো হবে।’’ কূটনৈতিক শিবিরের একটি অংশ বলছে, দু’হাজার সাল থেকে বিল গেটস সমাজসেবায় ৪৬০ কোটি ডলার দান করেছেন যা তাঁর রোজগারের ২২ শতাংশ। ভারতে ম্যালেরিয়া টিকাকরণ-সহ স্বাস্থ্য খাতে গেটস ফাউন্ডেশনের অবদান উল্লেখযোগ্য। মূলত বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে স্বাস্থ্য, নিকাশি ব্যবস্থা এবং গরিবদের অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়ার কাজ করে তারা।

তবে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের দাবি, বিএমজিএফ মানব কল্যাণের আড়ালে ব্যবসা করে। ভারতে টিকাকরণ নিয়ে তাদের আগ্রহ ব্যবসায়িক কারণে। আরএসএস-এর মতে, প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কার দেওয়াটাও উদ্দেশ্যমূলক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কে বোর্ডের সদস্য হিসেবে নচিকেত মোর যোগ দেওয়ার সময়েও রে-রে করে উঠেছিল সঙ্ঘ। কারণ, বিএমজিএফ-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নচিকেত। অশ্বিনী মহাজনের কথায়, এই সংস্থা অনৈতিক ও অবৈধ মেডিক্যাল পরীক্ষা করে।

আরএসএস-র রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মোদী এই খেতাব নেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement