ছবি: সংগৃহীত।
চার বছরের মধুচন্দ্রিমা শেষ। ২০১৬ সালে ভোটে জেতার পরে শরিক বিপিএফকে প্রশংসা ও প্রতিশ্রুতিতে ভরিয়ে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। কিন্তু তৃতীয় বড়ো শান্তি চুক্তির পরে বড়োভূমিতে মিত্র দল বিপিএফের অধিকার নিশ্চিত করা দূরের কথা উল্টে নিজেরাই বড়োভূমি দখল করতে মাঠে নেমেছে বিজেপি। বিভিন্ন প্রচারে নিশানা করছে বিপিএফ সভাপতি তথা বিদায়ী বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারিকে। এই পরিস্থিতিতে, বিধানসভা ভোট দূরের কথা, ডিসেম্বরে বড়োভূমির নির্বাচনের পরেই বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন করতে চলেছে বিপিএফ। বিপিএফের তিন মন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম, চন্দন ব্রহ্ম, রিহন দৈমারি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।
বিপিএফ সরে গেলেও আপাতত সরকার পড়বে না। এ দিকে বিপিএফের সঙ্গে মিত্রতা রাখা নিয়ে ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠক রয়েছে। আসন্ন বিটিসির নিৰ্বাচনে কংগ্ৰেসের ১৩ জন, এআইইউডিএফের ৭ জন, বিজেপির ২৬ জন, বিজেপি সমৰ্থিত একজন নিৰ্দল প্ৰাৰ্থী, বিপিএফের ৩৭ জন, বিপিএফ সমৰ্থিত একজন প্রার্থী, এজিপির একজন প্রার্থী লড়তে নামছেন। প্ৰমোদ বড়োর নেতৃত্বাধীন ইউপিপিএল ৪০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে।