লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ— চিনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকার পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বারবার বলে আসছে মোদী সরকার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সীমান্তে সড়ক উন্নয়নের প্রশ্নে প্রবল গাফিলতি এবং দুর্নীতি বাসা বেঁধে রয়েছে। সিএজি রিপোর্টে এই বিষয়টি তুলে প্রবল সমালোচনা হয় সরকারের। বলা হয়েছে, মনমোহন সরকারের সময় যে গাফিলতি ছিল, তা পরবর্তী সময়েও থেকে গিয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের স্বার্থে ৭ বছর আগে ভারত-চিন সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় মোট ৭৩টি সড়ক চিহ্নিত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৬১টির জন্য ৪৬৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল ভারত সরকার। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)-কে। আর বাকি ১২টির দায়িত্বে ছিল সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পূর্ত দফতর। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ওই ৬১টি রাস্তা তৈরির কথা ছিল ২০১২-র মধ্যে। এতদিনে ২২টি রাস্তা তৈরির কাজ শেষ করা গিয়েছে।
যে রাস্তাগুলো হয়েছে সেগুলো যে কোনও কাজের নয়, সে কথাও স্পষ্ট জানানো হয়েছে রিপোর্টে। বলা হচ্ছে, ‘‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ত্রুটিপূর্ণভাবে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ডিজাইনগত ভুল থেকে গিয়েছে। এগুলোকে মেরামত করে আবার ঠিক করতে বাড়তি প্রায় ৬৫ কোটি টাকা লেগে যাবে। যাঁরা ওই রাস্তা ব্যবহার করেছেন তাঁদের বক্তব্য— এতটাই সঙ্কীর্ণ, এবড়োখেবড়ো রাস্তা বানানো হয়েছে যে সেখানে কোনও ধরনের গাড়ি চালানো কার্যত অসম্ভব।’’
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি মনমোহন সিংহের আমলে সিদ্ধান্ত নেয় সময়ে সড়ক তৈরির কাজ শেষ করতে। কিন্তু শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ মনমোহন এবং মোদী সরকারও। সিএজি-র এখন প্রস্তাব, ভারত-চিন সীমান্তে ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল মেকানিজম’ তৈরি করা। সরকারের বিশেষ সেল তৈরি করে নজরদারি রাখা।