এডিসি ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই শাসক দল সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের (টিটিএএডিসি) নির্বাচনী ফলাফল গত কালই ঘোষিত হয়েছে। এডিসি’র মোট ২৮টি আসনের সব ক’টিতেই বামফ্রন্ট প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। অভিযোগ, তারপরেও এলাকায় এলাকায় ‘সন্ত্রাসের’ শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে বিজেপি এবং উপজাতি দল আইপিএফটি।
উল্লেখ্য, ভোটদানের শতাংশের হিসেবে এই দু’টি দলের ভোট ২০১০ সালের নির্বাচনের তুলনায় এ বারে যথেষ্টই বেড়েছে। নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী এ বার কংগ্রেসকে হঠিয়ে দ্বিতীয় স্থানটি ছিনিয়ে নিয়েছে আইপিএফটি। ওই দলের রাজ্য সভাপতি এন সি দেববর্মার অভিযোগ, ‘‘ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই এলাকায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা আইপিএফটির কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হচ্ছেন। বিশেষ করে মান্দাই, খোয়াই, সিমানা এবং দক্ষিণ ত্রিপুরার কোয়াইফাংয়ে আইপিএফটির কর্মী-সমর্থকদের মারধরের পাশাপাশি, বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
একই অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুধীন্দ্র দাশগুপ্ত। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এডিসি নির্বাচনে কাঁঠালতলি-মির্জা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পদ্মলোচন ত্রিপুরার উপর আক্রমণ করেছে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী। আরও তিন দলীয় কর্মী আক্রাম্ত। তাঁদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মহারানি কেন্দ্রেও সিপিএমের কর্মীদের সন্ত্রাসের জেরে বিজেপি কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’’
এ দিকে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির এ ধরনের সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরা সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাশ। উল্টে তাঁর অভিযোগ, ‘‘এডিসি ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে সোনামুড়ায় বিজেপি’র কর্মীর আক্রমণে সিপিএমের তিন জন কর্মী জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।’’