Crime

অমেঠীতে স্মৃতি ইরানির ঘনিষ্ঠকে গুলি করে খুন

পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কয়েক জন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে সুরেন্দ্রর বাড়িতে আসে। তাদের প্রত্যেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সুরেন্দ্র তখন ঘরে শুয়েছিলেন। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৯ ১০:২১
Share:

স্মৃতি ইরানির সঙ্গে সুরেন্দ্র সিংহ (বাঁ দিকে)। ফাইল চিত্র।

প্রচারের শুরু থেকে ভোটে জয়— লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে স্মৃতির সেই ছায়াসঙ্গীকেই দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করল।

Advertisement

বারাউলিয়া গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম সুরেন্দ্র সিংহ। এ বারের নির্বাচনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্মৃতি ইরানির সঙ্গে প্রচার কাজ চালিয়েছিলেন বারাউলিয়ার এই প্রাক্তন গ্রামপ্রধান। রাহুল গাঁধীকে হারিয়ে অমেঠী থেকে এ বার জিতেছেন স্মৃতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, স্মৃতির জয়ের নেপথ্যে অন্যতম মূল কারিগর ছিলেন বছর পঞ্চাশের সুরেন্দ্র।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কয়েক জন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে সুরেন্দ্রর বাড়িতে আসে। তাদের প্রত্যেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সুরেন্দ্র তখন ঘরে শুয়েছিলেন। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। সুরেন্দ্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অমেঠীর পুলিশ সুপার বলেন, “এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণ না কি ব্যক্তগিত বিবাদে খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

অমেঠীতে প্রচারের সময় স্মৃতি ইরানি ও সুরেন্দ্র বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের জুতো বিলি করার অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয় বিজেপি।

আরও পড়ুন: নয়া সাংসদদের মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ মোদীর

আরও পড়ুন: রাজ্যে এই ধাক্কার মূলে ইভিএম থেকে মেরুকরণ, বোঝালেন মমতা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement