প্রতীকী ছবি।
গত বারের স্বচ্ছতা অভিযানের মতো, এই দফায় ‘হর ঘর জল’ প্রকল্প নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এখন খুব সরব। ঘোষিত লক্ষ্য, ২০২৪-এর মধ্যে নলের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু সেটা করতে হলে এই খাতে যতটা বরাদ্দ প্রয়োজন, সেটাই নেই নির্মলা সীতারামনের বাজেট প্রস্তাবে! যদিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলিকে জুড়ে নতুন তৈরি হওয়া জলশক্তি মন্ত্রকের কথা বক্তৃতায় উজ্জ্বল ভাবেই উল্লেখ করেছেন নির্মলা। তাতে হর্ষধ্বনিও উঠেছে লোকসভায়। কিন্তু গত তিন বছর ধরেই পানীয় জল ও নিকাশি মন্ত্রকের বরাদ্দ কমেছে। ২০১৭-১৮-তে ছিল ২৩,৯৩৮ কোটি টাকা। ২০১৯-২০-তে তা কমে হয় ২০,০১৬ কোটি টাকা। মাঝের বছরে তা আরও কমে গিয়েছিল। জলসম্পদ মন্ত্রকের বরাদ্দ ২০১৭-১৮-তে বেশ খানিকটা বাড়লেও, এর পরে তা কমে গিয়েছে।
দুই মন্ত্রক মিশে যাওয়ার পরে জল সংক্রান্ত সব বিষয় দেখার জন্য যতটা বরাদ্দ হবে আশা করা হচ্ছিল, তা হয়নি। নির্মলা বরাদ্দ করেছেন মোট ২৮,২৬১ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮-তে দুই মন্ত্রকের মোট বরাদ্দের থেকেও এটা ১০০০ কোটি কম। সব ঘরে নলে করে জল পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা হলেও বাস্তবে সরকার এ বিষয়ে কতটা আন্তরিক, উঠেছে সেই প্রশ্ন। উঠছে নমামি গঙ্গে প্রকল্পের কথাও।
এটি নিয়েও খুব ঢাকঢোল পেটানো হয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিলে জানা গিয়েছে, স্বচ্ছ গঙ্গা তহবিলে যত টাকা জমা পড়েছে, খরচ হয়েছে তার মাত্র ১৮ শতাংশ? ফলে বেশি বরাদ্দ হলেই সব ঘরে জল পৌঁছবে, এমন আশা দেখছেন না বিরোধীরা।