এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাদক খাইয়ে সাত দিন ধরে আটকে রেখে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ২৩ জন যুবকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। ২৯ মার্চ এক বন্ধুর সঙ্গে বারাণসীর পিশাচমোচন এলাকার একটি হুক্কা বারে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। ৪ এপ্রিল তরুণীর খোঁজ মেলে। এর পর ৬ এপ্রিল থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিয়মিত দৌড় অনুশীলনের জন্য ইউপি কলেজে যেতেন তিনি। গোপন জবানবন্দিতে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২৯ মার্চ এক বন্ধু তাঁকে একটি হুক্কা বারে নিয়ে যান। সেখানে আরও কয়েক জন যুবক ছিলেন। অভিযোগ, কথা বলার সময় কোনও ভাবে তাঁর নরম পানীয়ে মাদক মিশিয়ে দেন যুবকদের এক জন। মাদকের প্রভাবে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন তরুণী। এর পর সাত দিন ধরে সিগ্রা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে একে একে ধর্ষণ করেন অন্তত ২৩ জন যুবক। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েক জন তরুণীর পূর্বপরিচিত ছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ছিলেন তরুণীর সমাজমাধ্যমের বন্ধু ও সহপাঠীরাও।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে ছ’জনকে আটক করেছে পুলিশ। হুক্কা বারের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ। তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বরুণা এলাকার ডিসিপি চন্দ্রকান্ত মীনা বলেন, ‘‘তরুণী প্রথমে স্বেচ্ছায় তাঁর বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন। কিন্তু বন্ধুরাই তাঁকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। ৪ এপ্রিল তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়। এর পর ৬ এপ্রিল লালপুর থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা।’’ অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।