প্রতীকী ছবি।
গণধর্ষণের পর এক নাবালিককে চলন্ত ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দিল দুষ্কৃতীরা। গত শুক্রবার দক্ষিণ বিহারের লখিসরাই জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য ওই নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার বয়ানের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় পটনা মেডিক্যাল কলেজও। কারণ, প্রবল রক্তক্ষরণ হলেও নির্যাতিতাকে প্রায় ছ’ঘণ্টা বেড না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে লখিসরাই জেলায় এক বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। তখনই রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করে ছয় দুষ্কৃতী। গণধর্ষণের পর ওই নাবালিকাকে কিউল স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকালে অচৈতন্য অবস্থায় রেলকর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। এর পর তাকে স্থানীয় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরাই খবর দেন মেয়েটির পরিবারকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সদর হাসপাতাল থেকে পটনা মেডিক্যাল কলেজে ওই নাবালিকাকে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও খবর: আদিত্যনাথের ফেসবুক পেজে লক্ষ্মী ওরাংয়ের ছবি ঘিরে মিথ্যা প্রচার, আন্দোলন অসমে
কিন্তু মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে জোটে বঞ্চনা। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, প্রবল রক্তক্ষরণ হলেও প্রায় ছ’ঘণ্টা মেঝেতে রেখে দেওয়া হয় তাকে। এমনকী চিকিৎসা করানোর জন্য ঘুষ চাওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছে মেয়েটির পরিবার। শনিবার সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেড না থাকার জন্যই সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে সাফাই দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। ঘটনায় কড়া নিন্দা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পুলিশের কাছে সন্তোষ কুমার এবং মৃত্যুঞ্জয় কুমার নামে দু’জনের নাম জানিয়েছে ওই নাবালিকা। পুলিশের অনুমান, ধর্ষকেরা প্রত্যেকেই নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত। নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন লখিসরাই জেলার পুলিশ সুপার অশোক কুমার। তদন্ত শুরু করেছে ডিএসপি পঙ্কজ কুমারের নেতৃত্বে একটি দল।