উত্তপ্ত নিলামবাজার

ভাইদের সঙ্গে সংঘর্ষে বিধায়ক

পৈতৃক জমি দখলকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়কের ভাইদের মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিধায়কের বোনও রয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ-সিআরপিএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৯
Share:

চলছে জেসিবি মেশিন দিয়ে দোকান ভাঙা। বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জে। ছবি: শীর্ষেন্দু সী।

পৈতৃক জমি দখলকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়কের ভাইদের মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিধায়কের বোনও রয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ-সিআরপিএফ।

Advertisement

পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক আব্দুল আজিজ খান এবং তার ভাই-বোনদের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব চলছিলই। এ নিয়ে কয়েকবার নিজেদের মধ্যে তাঁরা বৈঠকও করেছেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। আজ ভাইয়ে ভাইয়ে এই পারস্পরিক লড়াইয়ে নাম জড়াল এআইইউডিএফ বিধায়ক আব্দুল আজিজ খানেরও। সেই সঙ্গে পুলিশের সামনেই বিধায়কের বিরুদ্ধে চরম অভিযোগ তুলল অন্য ভাইরা। যা নিয়ে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিধায়কের ভাই সাদিক আহমদ খানের অভিযোগ, নিলামবাজারের স্টেশন রোডে তাঁর একটি চায়ের দোকান রয়েছে। কিছুদিন অন্তর অন্তর বিধায়কের সহযোগী ভাইরা তাঁর উপর আক্রমণ চালায়। তার অভিযোগ, বিধায়ক তাঁকে কালো ব্যবসায় জড়াতে চেয়েছিলেন। বিধায়ক মাদকের ব্যবসা করেন বলে ভাইয়ের অভিযোগ। সেই ব্যবসায় তিনি সম্মত না হওয়ায় আজ জেসিবি লাগিয়ে নিলামবাজারের স্টেশন রোডের চায়ের দোকান গুড়িয়ে দেন বিধায়ক আব্দুল আজিজ খান। একই অভিযোগ আর এক ভাই আজাদ খানেরও।

Advertisement

আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সাদিক আহমদ খান, আজাদ খান, সুলতান আহমদ খান এবং তাঁদের বোন শাহানারা বেগম যখন ‘বিতর্কিত’ ওই ঘরটিতে বসেছিলেন তখন জেসিবি নিয়ে তাঁদের মিষ্টির দোকান-সহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙতে আসেন ভাইদের অন্য গোষ্ঠী। তাতে ছিলেন রাজু খান, কালু খান, নূর খান ও টুনু খানরা। এই টুনু খান আবার জেলা পরিষদের সদস্য। দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে সব কিছুর নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। জেসিবি লাগিয়ে দোকান ভাঙ্গার ঘটনায় বাধা দেন আজাদরা। কিন্তু বিধায়কের ক্ষমতায় বলিয়ান অন্য ভাইরা আক্রমণ চালাতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। বিধায়কের ভাই-বোনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জেলা পরিষদ সদস্য টুনু খানকে শিলচরে এবং অন্যদের করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। পরিস্থিতি এক সময় এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে একপক্ষ অপরপক্ষের উপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে আহত হন দু’জন সাধারণ পথচারী। মাদক ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়কের সঙ্গের ভাইরা। পাল্টা অভিযোগ, জমি নিয়ে মারপিটের ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে বিধায়কের ছোট ভাই এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। বিধায়ক মুখ খুলতে নারাজ। নিলামবাজার থানার ওসি আলিমুদ্দিন লস্কর জানিয়েছেন, সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর জন্য বিধায়ক একবার ফোন করেন। পরে নিজেই থানায় চলে এসেছিলেন। ওসি জানান, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement