সুপ্রিম কোর্টের টানাপড়েন কাটবে কোন পথে, এখনও স্পষ্ট নয়। —ফাইল চিত্র।
জট কাটাতে ফের বৈঠক করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। বিচারপতি চেলামেশ্বর, বিচারপতি গগৈ, বিচারপতি লোকুর এবং বিচারপতি জোসেফ সাংবাদিক বৈঠক করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে অস্বচ্ছতার যে অভিযোগ করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতেই টানাপড়েন চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। বুধবার প্রধান বিচারপতির ডাকা বৈঠকে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু, সমাধান সূত্রের খোঁজ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।
যে চার বিচারপতি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে, তাঁদের পাশাপাশি আরও তিন বিচারপতি বৈঠকে যোগ দেন। কিন্তু, মামলা বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ে যে অভিযোগ সামনে এসেছে, তার সুরাহার কোনও খবর মেলেনি।
সুপ্রিম কোর্টেই গতকাল বুধবার বৈঠকটি হয়েছে বলে খবর। বিচারপতি জে চেলামেশ্বর, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ এবং বিচারপতি মদন লোকুরের সঙ্গে সে বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের। বিচারপতি এ কে সিকরি, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিতও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সপ্তাহ দুয়েক ধরেই টানাপড়েন চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। চার বিচারপতি (চেলামেশ্বর, গগৈ, জোসেফ, লোকুর) সাংবাদিক বৈঠক করে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলার পর থেকেই এই টানাপড়েন শুরু। মামলার বণ্টনে অস্বচ্ছতা এবং অসঙ্গতি রয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। বুধবার সেই বিষয়ে আলোচনার জন্যই প্রধান বিচারপতি বৈঠক ডাকেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক হয়। টানাপড়েন শুরুর পর থেকে চার সিনিয়র বিচারপতির সঙ্গে এটিই দীর্ঘতম বৈঠক প্রধান বিচারপতির। কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি বলেই খবর। প্রধান বিচারপতি এবং চার সিনিয়র বিচারপতি ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি বলেই জানা গিয়েছে।
প্রধান বিচারপতিই বুধবারের বৈঠকটি ডেকেছিলেন বলে খবর। তবে বৈঠক খুব ফলপ্রসূ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। —ফাইল চিত্র।
চার সিনিয়র বিচারপতি যে সব প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির সামনে রেখেছিলেন, তা মেনে নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে বৈঠকে খুব বেশি আলোচনা হয়নি বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর। প্রধান বিচারপতি মূলত চার বিচারপতির ক্ষোভ কমানোর উপরেই জোর দেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মাবত: দীপিকার নাক কাটলে কোটি কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা
আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে উন্মত্ত করণী সেনা, চার রাজ্যে মাল্টিপ্লেক্সে বন্ধ প্রদর্শনী
টানাপড়েন এখন প্রধান বিচারপতি ও চার সিনিয়র বিচারপতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বলে অনেকে মনে করছেন। বুধবারের বৈঠকে আরও তিন বিচারপতির যোগদান থেকেই তা স্পষ্ট, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সকলেই যে চার সিনিয়র বিচারপতির পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মত দিচ্ছেন, এমনটা নয় বলেই খবর। কিন্তু ঘটনাচক্রে বিচারপতিদের মধ্যে মতানৈক্য বাড়ার ইঙ্গিত মিলছে। যত দ্রুত সম্ভব এই পরিস্থিতির অবসান চাইছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।