চিত্রশিল্পী হেমা এবং তাঁর আইনজীবী হরিশ ভামভানির খুনে জড়িত সন্দেহে হেমার বিচ্ছিন্ন স্বামী চিন্তন উপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। জোড়া খুনে জড়িত থাকার অপরাধে মঙ্গলবার ভোরে চিন্তনকে গ্রেফতার করে কান্দিভালি থানার পুলিশ।
মুম্বই পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (উত্তর) ফতেহসিংহ পাতিল জানিয়েছেন, সোমবার রাতে চিন্তনকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করে অপরাধদমন শাখা। তাঁর কথায় অসঙ্গতি পাওয়ার পরই এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত ১৪ ডিসেম্বর কান্দিভালির একটি নর্দমার মধ্যে দু’টি কার্ডবোর্ডের বাক্সে উদ্ধার হয় প্লাস্টিকে মোড়া হেমা এবং তাঁর আইনজীবী হরিশের অর্ধনগ্ন দেহ। শ্বাস রোধ করে খুন করা হয় দু’জনকে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, টোপ ফেলে ওই দিন ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয় হেমাদের। একটি ভিডিও-র টোপ ফেলে ডেকে আনা হয় দু’জনকে। পুলিশের কাছে জয়পুরে থাকা চিন্তনের পরিচারক দাবি করে, ভিডিও ক্লিপটি সেই বানিয়েছিল। মূল অভিযুক্ত বিদ্যাধর রাজবর হেমাদের কাছে টোপ দেন।
চিন্তন-হেমার বিয়ে হয় ১৯৯৮ সালে। তার পরে ওঁরা চলে আসেন মুম্বই। শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার জন্য শুরু হয় দু’জনের লড়াই। দহিসর এবং বোরিভলির অ্যাপার্টমেন্টে প্রথম দিকে থাকতেন তাঁরা। ২০০৫-এ জুহুতে ফ্ল্যাট কেনেন দু’জনে। তত দিনে আসে আর্থিক সচ্ছলতাও। সমস্যার শুরুও তখন থেকে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
• হেমার ভাইয়ের সন্দেহ চিন্তনকেই
• হেমাকে মেরে ফেলার ছক ছিল না, সন্দেহ পুলিশের
হেমার ভাই দীপক অভিযোগ করেন, জুহুর ওই ফ্ল্যাট কেনার এক বছরের মধ্যে ফাটল ধরে ওদের সম্পর্কে। দীপক বলেন, ‘‘চিন্তন হতাশ হয়ে পড়ছিল। কারণ ও আন্তর্জাতিক স্তরে হেমার মতো খ্যাতি অর্জন করতে পারেনি। হেমার সাফল্য মানতে পারেনি ও।”
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ-সহ বেশ কয়েকটি মামলা চলছিল। তাঁদের ১২ বছরের দাম্পত্য ২০১০-এ এসে মামলার চেহারা নেয়। তার পরেও চিন্তনের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা করেন হেমা। প্রতিটি মামলাতেই হেমার আইনজীবী ছিলেন হরিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনই চিন্তনকে আদালতে তোলা হবে। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় চিন্তনকে নিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।