উত্তরাখণ্ডে ফের চিনা অনুপ্রবেশ

সিকিম সীমান্তের ডোকলাম নিয়ে চিন কিছুটা সুর নরম করেছে বলে দাবি বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের। কিন্তু ডোভালের সফরের ঠিক আগে ২৫ জুলাই চামোলিতে ফের অনুপ্রবেশ করে চিন কঠোর অবস্থানেরই ইঙ্গিত দিয়েছে বলে ধারণা অনেকের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০৪:০৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত

ডোকলাম নিয়ে উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক দৌত্যের পথে হাঁটছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার মধ্যেই ফের উত্তেজনা বাড়িয়ে উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে অনুপ্রবেশ করল চিনা সেনা। গত বছরেও উত্তরাখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা।

Advertisement

সিকিম সীমান্তের ডোকলাম নিয়ে চিন কিছুটা সুর নরম করেছে বলে দাবি বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের। কিন্তু ডোভালের সফরের ঠিক আগে ২৫ জুলাই চামোলিতে ফের অনুপ্রবেশ করে চিন কঠোর অবস্থানেরই ইঙ্গিত দিয়েছে বলে ধারণা অনেকের।

চিন-ভারত সীমান্তে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ ‘মিডল সেক্টর’ বা ‘মধ্যবর্তী এলাকা’ হিসেবে পরিচিত। সীমান্তের ওপারে তিব্বত। দেহরাদূন থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে চামোলির বারাহোতীতে পশুচারণ করতে যান ভারতীয় ও তিব্বতি পশুপালকেরা। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময়েও এই এলাকায় আসেনি চিনা সেনা। ২০০০ সালের এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ওই এলাকায় নিরস্ত্র অবস্থায় সাদা পোশাকে পাহারা দেন ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের জওয়ানেরা।

Advertisement

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২৫ জুলাই সকাল ন’টা নাগাদ বারাহোতীতে প্রায় এক কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে আসে জনা পঞ্চাশ চিনা সেনা। ভারতীয় পশুপালকদের ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে তারা। প্রায় দু’ঘণ্টা ভারতীয় এলাকায় থেকে ফিরে যায় চিনা সেনারা। গত বছরের জুলাই মাসেও বারাহোতীতে অনুপ্রবেশ করেছিল চিনা সেনা। চলতি বছরে চামোলি এলাকায় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে চিনা বায়ুসেনার দু’টি কপ্টার।

আরও পড়ুন:মুম্বইয়ের ছাত্র-মৃত্যুতে কি নীল তিমির রহস্য

ডোকলাম নিয়ে দৌত্যের মধ্যেই চামোলিতে চিনের অনুপ্রবেশ নিয়ে অবশ্য শোরগোল করতে একেবারেই রাজি নয় মোদী সরকার। সম্প্রতি চিন নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে সব মন্ত্রীদের নিষেধও করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। আজ সেই নির্দেশ মেনেই বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক যোগে জানিয়েছে, এটা ঠিক ‘অনুপ্রবেশ’ নয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান নিয়ে দু’দেশের ধারণার পার্থক্য রয়েছে। ফলে মাঝে মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে। স্থানীয় স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই তার সমাধান করা হয়। এ নিয়ে অহেতুক হইচই করা উচিত নয়।

যদিও মোদী সরকারের এই মত মানতে নারাজ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্য, চিনকে সামলাতে মোদী সরকার যে পুরোপুরি ব্যর্থ, তা এই সব ঘটনাতেই স্পষ্ট। অন্য দিকে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভুল করে ২০-৫০ মিটার
ঢুকে পড়া এক জিনিস। কিন্তু এক কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে মেষপালকদের সরিয়ে ঘণ্টা দু’য়েক সেখানে থাকা বিপদের ইঙ্গিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement