—ফাইল চিত্র।
নিজের ইচ্ছায় নয়, লাদাখে ভারতকে ঠেকাতে চিনা সেনায় তিব্বতি যুবকদের অন্তর্ভুক্তি এ বার বাধ্যতামূলক করল বেজিং। গত সপ্তাহেই তিব্বত সফরে গিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তার পরই ভারতীয় গোয়েন্দারা এমন তথ্য হাতে পেলেন। বলা হয়েছে, তিব্বতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে বেজিং। তাতে প্রত্যেক পরিবার থেকে এক জনের চিনা সেনায় যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) সেনা মোতায়েন বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ তাদের।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লাদাখে মুখোমুখি সঙ্ঘাতে ভারত ও চিন। প্যাংগং সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিলেও, উষ্ণ প্রস্রবণ, গোগরা পোস্ট এবং দেপসাংয়ের মতো এলাকায় এখনও মোতায়েন রয়েছে চিনা বাহিনী। কিন্তু দুর্গম এলাকায় ভারতের মোকাবিলা করতে নাজেহাল তারা। তাই হাতের তালুর মতো লাদাখের ওই দুর্গম এলাকা যাঁরা চেনেন, তাঁদের সেনাবাহিনীতে শামিল করতে শুরু করেছে চিন। সেই যোগদানই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে গোয়েন্দাসূত্রে খবর। অরুণাচল সীমান্তেও তিব্বতি যুবকদের মোতায়েন করার উদ্যোগ চলছে।
তিব্বতি নাগরিকদের চিন বিরোধী অবস্থান সামাল দিতে চেষ্টায় কোনও কসুর করছে না বেজিং। তাই আনুগত্য পরীক্ষা নিয়ে তিব্বতি যুবকদের চিনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। গোয়েন্দাদের দাবি, এলএসি বরাবর পাকাপাকি ভাবে তিব্বতি যুবকদের মোতায়েন করতে চাইছে চিন। তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।