নেহরু নয়, মোদীময় শিশু দিবস চায় কেন্দ্র

শিক্ষক দিবসের পরে নরেন্দ্র মোদীর গন্তব্য শিশু দিবস। আজ ‘শিক্ষক দিবস’কে মোদীময় করে তোলার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার ‘শিশু দিবস’কে জওহরলাল নেহরুর ঐতিহ্য থেকে দূরে সরাতে উদ্যোগী হলেন তিনি। নেহরু-গাঁধীদের প্রভাব কমিয়ে কংগ্রেস-বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গুরুত্ব বাড়ানোর কাজ গোড়া থেকেই শুরু করেছে মোদী সরকার। অরুণ জেটলির বাজেটেও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়, সর্দার বল্লভভাই পটেল, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পণ্ডিত মদন মোহন মালব্যের মতো ব্যক্তিত্বদের নামে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৮
Share:

শিক্ষক দিবসের পরে নরেন্দ্র মোদীর গন্তব্য শিশু দিবস। আজ ‘শিক্ষক দিবস’কে মোদীময় করে তোলার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার ‘শিশু দিবস’কে জওহরলাল নেহরুর ঐতিহ্য থেকে দূরে সরাতে উদ্যোগী হলেন তিনি।

Advertisement

নেহরু-গাঁধীদের প্রভাব কমিয়ে কংগ্রেস-বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গুরুত্ব বাড়ানোর কাজ গোড়া থেকেই শুরু করেছে মোদী সরকার। অরুণ জেটলির বাজেটেও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়, সর্দার বল্লভভাই পটেল, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পণ্ডিত মদন মোহন মালব্যের মতো ব্যক্তিত্বদের নামে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প। এ বারে ‘চাচা’ নেহরুর জন্মদিনেও মোদী যাতে সমান ভাবে নজর কাড়তে পারেন তার প্রস্তুতি শুরু করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।

শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতার নামে মোদী নিজের ঢাক পেটাতে চাইছেন বলে বিরোধীরা কয়েক দিন ধরেই সোচ্চার হয়েছে। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের উপর থেকে প্রচারের আলো সরে গিয়ে যে মোদীর উপরেই যাচ্ছে, তা নিয়েও তোপ দেগেছে তারা। বিতর্ক হয়েছে শিক্ষক দিবসের আগে ‘গুরু উৎসব’ নিয়েও। আজও কংগ্রেসের নেতা ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ বলেন, “শিক্ষক দিবস ছাত্র ও শিক্ষকদের অনুষ্ঠান। কিন্তু মোদী একে প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলেন। বিজেপি সব ক্ষেত্রেই রাজনীতি করছে।” বিজেপির মতে, শিক্ষক দিবসকে ঘিরে কেন্দ্রের অনুষ্ঠান অনেক রাজ্য ও বিরোধী দলের আপত্তি সত্ত্বেও যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এ বারে শিশু দিবসেও এই ধরনের অনুষ্ঠান করে কংগ্রেসকে জবাব দেওয়া উচিত।

Advertisement

বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখির প্রশ্ন, শিক্ষক দিবস নিয়ে কংগ্রেস এত হল্লা করছে কেন? তাঁর কথায়, “কংগ্রেসের এক এক নেতার নামে এক একটি দিবস রয়েছে। জওহরলাল নেহরুর নামে শিশু দিবস পালন হয়। তা রাজনীতি না হলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ রাজনীতি হবে কেন?” বিজেপির এক নেতার মতে, কংগ্রেস নেহরু-গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে স্বীকৃতিই দেয়নি। তাই এখন কংগ্রেস-বিরোধীদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement