—প্রতীকী চিত্র।
‘ডায়মন্ড সিটি’ সুরতে শিশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁস করলেন গোয়েন্দারা। হোটেল, রেস্তরাঁ এবং অভিজাত পরিবারে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে শতাধিক শিশুকে সেখানে এনে রাখা হয়েছিল। রবিবার সাত সকালে তল্লাশি চালিয়ে ১৩৫ শিশুকে উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সুরতের জনবসতিপূর্ণ পঙ্কজ নগর এলাকার সীতারাম নগর সোসাইটিতে যৌথ অভিযান চালায় গুজরাত পুলিশ, সিআইডি, রাজস্থান পুলিশ এবং নয়াদিল্লি, রাজস্থান এবং গুজরাতের ‘বচপন বাঁচাও আন্দোলন’ বিভাগের কর্মীরা। সেখানেই ওই শিশুদের হদিশ মেলে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। উদ্ধার হওয়া ১৩৫ জন শিশুর মধ্যে কোনও মেয়ে নেই। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১০ থেকে ১৬-র মধ্যে। ১৩৫ জনের মধ্যে ১২৮ জনকে রাজস্থানের উদয়পুর, দুঙ্গারপুর, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খন্ড থেকে তুলে আনা হয়।
গুজরাত পুলিশের এডিজি-সিআইডি অনিল প্রথম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সুরতের ওই এলাকায় শিশুদের এনে রাখা হয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম। সেই মতো সেখানে হানা দিই আমরা। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সম্মতিতেই ওই শিশুগুলিকে আনা হয়েছিল, যাতে তাদের রোজগারের চাকায় গরিব পরিবারগুলো বাঁচতে পারে। কিন্তু জুভেনাইল জাস্টিস আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েদের দিয়ে কোনও কাজ করানো বেআইনি। ১৮ বছরের কম বয়সিদের দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করানো যায় না।’’ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিষয় মিটিয়ে রাজস্থান থেকে ওই শিশুগুলিকে সুরতে আনা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।