Child Fell in Borewell

রাজস্থানে ফের কুয়োয় পড়ল বছর পাঁচেকের শিশু, ১৬ ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পর নিথর দেহ উদ্ধার

সারা রাত ধরে উদ্ধারকাজ চলার পর শেষমেশ সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর যৌথ দল শিশুটির সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০২
Share:
রাজস্থানের সেই কুয়োয় চলছে উদ্ধারকাজ।

রাজস্থানের সেই কুয়োয় চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

রাজস্থানে ফের কুয়োয় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল শিশুর। রবিবার দুপুরে পাঁচ বছরের ওই খুদে খেলতে খেলতে ৩২ ফুট গভীর এক কুয়োয় পড়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার ভোরে প্রায় ১৬ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানের পর কুয়ো থেকে শিশুর নিথর দেহ তোলা হয়েছে।

Advertisement

গঙ্গাধরের এসডিএম ছত্রপাল চৌধরি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সারা রাত ধরে উদ্ধারকাজ চলার পর শেষমেশ সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর যৌথ দল শিশুটির সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিকিৎসকদের দল শিশুটিকে পরীক্ষার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ডিএসপি জয়প্রকাশ অটল বলেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যা থেকেই পাইপের সাহায্যে কুয়োর ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছিল, যাতে শিশুটির শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা না হয়। তার পরেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছরের ওই খুদের নাম কালুলাল বাগারিয়া। তার পরিবার রাজস্থানের দুগ থানার পারালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার দুপুরে যখন ঘটনাটি ঘটে, সে সময় শিশুটির বাবা প্রহ্লাদ বাগারিয়া ক্ষেতে কাজ করছিলেন। তখনই খেলতে খেলতে অসাবধানতাবশত কুয়োয় পড়ে যায় শিশুটি। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই শিশুটিকে কুয়ো থেকে তোলার সব রকম চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। অভিযোগের ভিত্তিতে কী ভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।

Advertisement

উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই রাজস্থানে গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল চেতনা নামে তিন বছরের এক শিশুকন্যার। প্রায় দশ দিন ধরে চলে ওই বালিকাকে উদ্ধারের কাজ। শেষমেশ তাকেও বাঁচানো যায়নি। কুয়ো থেকে তোলার পর মৃত্যু হয় তারও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement