হায়দরাবাদের লিফ্টে আটকে মৃত্যু চার বছরের শিশুর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
লিফ্টের ভিতর মাথা থেঁতলে মৃত্যু হল চার বছরের শিশুর। সে লিফ্টের মধ্যে বসে খেলছিল। আচমকা লিফ্টটি উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। দরজায় আটকে পড়ে ওই শিশু। পরে লিফ্ট থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হায়দরাবাদের আসিফনগর থানা এলাকার সন্তোষনগর কলোনির ঘটনা। মৃত শিশুর নাম নরেন্দ্র (৪)। কুতুব শাহি মসজিদের কাছে মুস্তাফা ভবনে থাকতে সে। তার বাবা ওই বহুতলের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেন। বুধবার রাতে বহুতলের লিফ্টে খেলতে গিয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১০টা নাগাদ লিফ্টের মধ্যে ঢুকে খেলা করছিল শিশুটি। সেই সময়ে উপর থেকে কেউ লিফ্টের বোতাম চাপেন। লিফ্ট উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। শিশুটি বেরোনোর সুযোগ পায়নি। সে লিফ্টের দরজায় আটকে পড়েছিল। লিফ্ট উঠে গেলে দেওয়ালে মাথা থেঁতলে যায় তার। রক্তে ভেসে যায় লিফ্টের মেঝে।
শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাধারণত লিফ্টের দরজা খোলা থাকলে সেটি ওঠানামা করে না। বরং লিফ্ট থেকে সতর্কতামূলক শব্দ হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল, শিশুটি কী ভাবে লিফ্টের দরজায় আটকে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বহুতলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেখানকার বাসিন্দা এবং শিশুর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কিছু দিন আগে হায়দরাবাদেই অনুরূপ একটি ঘটনা ঘটেছিল। একটি বহুতলের লিফ্টের দরজা এবং কংক্রিটের দেওয়ালের মাঝে আটকে পড়েছিল ছ’বছরের শিশু। তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়।