Dam water Pumped out

ফোনের জন্য বাঁধের ২১ লক্ষ লিটার জল সেচে ফেলা সেই সরকারি কর্তার ২১ লক্ষ টাকা জরিমানা!

নিজস্বী তোলার সময় ওই আধিকারিকের এক লক্ষ টাকার ফোন বাঁধের জলে পড়ে যায়। ফোন খুঁজতে ১৫ ফুট গভীর বাঁধের জলের ১০ ফুট জল তিন দিন ধরে পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১১:২১
Share:
Dam water pumped out

বাঁধের জল তুলে ফেলা হচ্ছে পাম্পের সাহায্যে। ফাইল চিত্র।

তাঁকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল, এ বার বাদ গেল না জরিমানাও। ২১ লক্ষ লিটার জল বাঁধ থেকে সেচে ফেলার ‘শাস্তি’ হিসাবে সেই জলের পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হল ছত্তীসগঢ়ের সরকারি আধিকারিককে।

Advertisement

অভিযুক্ত ওই আধিকারিকের নাম রাজেশ বিশ্বাস। ছত্তীসগঢ়ের কাঁকের জেলার কোইলিবেড়া ব্লকের খাদ্য দফতরে কর্মরত। বেশ কিছু দিন আগে এক রবিবারে বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে খেরকাট্টা বাঁধে গিয়েছিলেন। নিজস্বী তোলার সময় তাঁর এক লক্ষ টাকার ফোন বাঁধের জলে পড়ে যায়। ফোন খুঁজতে ১৫ ফুট গভীর বাঁধের জলের ১০ ফুট জল তিন দিন ধরে পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই খবর সেচ দফতরের কাছে পৌঁছলে তারা এসে জল তোলা বন্ধ করে। সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়, যে পরিমাণ জল তুলে ফেলা হয়েছে, সেই জল দিয়ে ১৫০০ একর জমিতে চাষ করা যেত।

সেই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই আধিকারিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজের জন্য শাস্তির দাবিও জোরালো হতে থাকে। শেষমেশ তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সঙ্গে ইন্দ্রাবতী প্রকল্পের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মহকুমাশাসক আর কে ধীবরকে চিঠি লিখে আধিকারিকের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।

Advertisement

সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে খাদ্য দফতরের ওই আধিকারিককে ২১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে পরিমাণ জল তুলে ফেলা হয়েছে, তাতে গ্রীষ্মকালে সেচ এবং চাষের কাজ অত্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়বে।

কিন্তু খাদ্য দফতরের ওই আধিকারিকের এই কাজ ভাল চোখে দেখেননি স্থানীয়রা। ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য। শেষমেশ সেই পথেই হাঁটল স্থানীয় প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement