ছবি: সংগৃহীত।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে কেরল সরকার। এ বার সেই পথে হেঁটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের জমানায় পাশ হওয়া ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আইনের বৈধতাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে বসল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ছত্তীসগঢ় সরকার। তাদের যুক্তি, এই আইন রাজ্যগুলির সার্বভৌমত্বকে খর্ব করে কেন্দ্রের হাতে অবাধ ক্ষমতা তুলে দিয়েছে— যা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী। ছত্তীসগঢ়ই প্রথম রাজ্য, যারা এনআইএ গঠনের আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় পৌঁছল।
জঙ্গি মোকাবিলা ছাড়াও যে অপরাধগুলির জাল বিভিন্ন রাজ্যের সীমানা ছড়িয়ে রয়েছে, মূলত সেগুলির তদন্তের জন্যই ২০০৮ সালে প্রথম ইউপিএ সরকার এনআইএ আইন পাশ করেছিল। যার মাধ্যমে গঠিত হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মুম্বই হামলার পরে এই তদন্তকারী সংস্থা গঠনে উদ্যোগী হয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। এনআইএকে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এক দশক ধরে যা করেও চলেছে তারা।
তবে আজ ভূপেশ বঘেলের নেতৃত্বাধীন ছত্তীসগঢ় সরকার সংবিধানের ১৩১ ধারা অনুযায়ী শীর্ষ আদালতে যে মামলা করেছে, তাতে বলা হয়েছে, পুলিশের মাধ্যমে কোনও অপরাধের তদন্ত চালানোর যে ক্ষমতা রাজ্যের হাতে রয়েছে, তা কেড়ে নিয়েছে এনআইএ। এই আইনের ফলে উপযুক্ত কারণ না দেখিয়েই যে কোনও সময়ে কেন্দ্র তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। রাজ্যগুলির আগাম মতামত দেওয়ার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। যা রাজ্যের সাংবিধানিক ক্ষমতার উপর আঘাত। ছত্তীসগঢ়ের যুক্তি, পুলিশ রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়। কেন্দ্রের বিষয় নয়। তবে তাকে ছাপিয়ে গিয়ে এনআইএ-র গঠন, সংবিধান প্রণেতাদের মূল ভাবনার বিরোধী।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্ত সিএএ প্রতিবাদে গ্রেফতার ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর