এই বিজ্ঞাপন ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
দোকানে মুসলিম কর্মচারী নেই করতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন এক বেকারির মালিক। ধর্মীয় অবমাননা এবং বিশৃঙ্খলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
চেন্নাইয়ের টি নগরের মহালক্ষ্মী স্ট্রিটে অবস্থিত ‘জৈন বেকার্স অ্যান্ড কনফেকশনারিজ’ নামে একটি বেকারির মালিক সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। দোকানের সামনে একটি বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগান তিনি। তাতে বলা হয়, ‘‘জৈন কর্মীরা খাবার তৈরি করেন। দোকানে কোনও মুসলিম কর্মী নেই।’’
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ওই হোর্ডিংয়ের ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তাতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ওই বেকারির মালিক। তাতেই টনক নড়ে স্থানীয় পুলিশের। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করতে এগিয়ে আসে তারা। বেকারির মালিককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২৯৫-এ এবং ৫০৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়।
আরও পড়ুন: সিকিমের সীমান্তে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষে উত্তেজনা, জখম দু’পক্ষেই
এর আগে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের একটি গ্রামে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে পোস্টার পড়েছিল। সেই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। করোনা সঙ্কটে একটি বিশেষ ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: লকডাউন শেষে প্রথম সপ্তাহই অগ্নিপরীক্ষা, কর্মী-নিরাপত্তায় জোর কেন্দ্রের
তবে কোনও সম্প্রদায়ের মানুষকে আঘাত করা তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের ওই বেকারির কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বেকারিতে মুসলিম কর্মী রয়েছেন, তাই সেখানকার জিনিস কেনা চলবে না বলে সম্প্রতি হোয়্যাটসঅ্যাপে একটি মেসেজ ছড়ায়। সেই নিয়ে নানা জায়গা থেকে ফোন আসতে শুরু করে। সকলে জানতে চান, বেকারিতে কোনও মুসলিম কর্মী রয়েছে কিনা। সেই গুজবে ইতি টানতেই দোকানের মালিক ওই বিজ্ঞাপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।