গয়নার উপর এক শতাংশ উৎপাদন শুল্ক বসানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এমন কী, পৌঁছে গিয়েছিলেন যন্তর-মন্তরের ধর্না-মঞ্চেও। কিন্তু আজ অর্থবিল পাশ করানোর সময় সোনার গয়নার করের প্রসঙ্গটি উঠতেই কোথায় যেন উধাও হয়ে গেলেন রাহুল গাঁধী!
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ভেবেই এসেছিলেন, আজ লোকসভায় রাহুল গাঁধীকে এক হাত নেবেন। প্রতিবাদী ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কংগ্রেস সহ-সভাপতির সমালোচনা করে বলবেন, ইউপিএ আমলে কী ভাবে ছোট ছোট স্বর্ণকারদের স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধে করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু সেই প্রসঙ্গ উঠতেই আজ লোকসভা ছেড়ে উধাও হয়ে যান রাহুল। ফেরেন এ বিষয়ে কথাবার্তা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে। মোক্ষম সময়ে রাহুল চলে যাওয়ায় অগত্যা তাঁর সতীর্থ, তরুণ কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র হুডাকে মনের কথা শোনাতে বসেন অর্থমন্ত্রী।
তবে অনুপস্থিত থাকলেও রাহুল গাঁধীর সমালোচনা করতে ছাড়েননি জেটলি। গত বছর এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকের জন্য নিজের নাম লেখা স্যুট পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ‘স্যুট বুটের সরকার’ বলে কটাক্ষ করেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ তুলে আজ জেটলি খোঁচা দেন, ‘‘আপনাদের স্যুটের প্রতি এত বিতৃষ্ণা, অথচ সোনার প্রতি এত মোহ কেন!’’
সোনা, প্ল্যাটিনাম, হিরে ও অন্যান্য দামি পাথরের গয়নায় এক শতাংশ উৎপাদন শুল্ক বসানোর প্রস্তাব থেকে মোদী সরকার যে সরছে না, তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আজ এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে
অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, এই শুল্কের কোনও প্রভাব ছোট মাপের স্বর্ণব্যবসায়ীদের উপর পড়বে না। কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াতে জেটলির আরও বলেন, ‘‘কেরলে তো কংগ্রেস সরকার। ওখানকার স্বর্ণব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে তা হলে ৫ শতাংশ আঞ্চলিক কর তুলে নিচ্ছে না কেন তারা!’’