ছবি পিটিআই।
লক্ষ্য ছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মুসলিমদের মন থেকে ভীতি দূর করা। তাই দিল্লিতে আজ উলেমা সম্মেলনের আয়োজন করেছিল আরএসএসের মুসলিম সংগঠন ‘মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ’। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে সিএএ ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতা করায় বাধল হুলস্থুল।
অনুষ্ঠানে দর্শক আসনে প্রথম সারিতে বসা জনা আটেক ব্যক্তি পোস্টার নিয়ে সিএএ ও এনআরসি-র বিরোধিতা শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সভাস্থল থেকে বার করে দেওয়া হয়। তার পরেই সঙ্ঘের নেতা ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘‘শান্তি বজায় রাখা আমাদের কাজ। ‘শয়তান’রা অশান্তি ছড়াতে থাকে।’’ বিক্ষোভকারীদের নিশানা করে সভায় উপস্থিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমারের বক্তব্য, ‘‘কিছু লোক মনে করেন, বাক্স্বাধীনতা শুধু তাঁদের জন্যই। এঁরা উপদ্রব করতেই এসেছিলেন, বিতর্ক করতে নয়।’’
বৈঠকে শিয়া, সুন্নি ধর্মগুরুরাও সিএএ-র পক্ষে সওয়াল করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিরাজ কুরেশি বলেন, ‘‘সিএএ বুঝতে ভুল হয়েছে। এই আইনে মুসলমানদের কোনও বিপদ নেই।’’ ইন্দ্রেশ কুমারের বক্তব্য, ‘‘সংসদে পাশ হওয়ার পর আইনটি তৈরি হয়েছে। এখন আর তা ফেরত নেওয়ার বা বদলের সম্ভাবনা নেই। অতীতে ১১ বছরে নাগরিকত্ব পাওয়া যেত, এখন ৬ বছরে পাওয়া যাবে।’’ বক্তারা বরং কংগ্রেসকেই ‘ইসলাম-বিরোধী’ বলে চিহ্নিত করেন। হিন্দি, ইংরেজি, উর্দুর পাশাপাশি ভারতের পক্ষে সংস্কৃতেও স্লোগান দেওয়া হয়।
সিএএ কার্যকর করার উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দু’টি নতুন আবেদন জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল)। তাদের আরও আর্জি, এনআরসি-র বিষয়টি স্পষ্ট করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।