অনুঘটক হিসেবে কাজ করছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু।—ছবি পিটিআই
আঞ্চলিক দলগুলিকে এক জায়গায় আনতে সূত্রধরের ভূমিকা নিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তেলঙ্গানার পরে জাতীয় স্তরে কী ভাবে এক জোট হয়ে এগোনো যায় তা নিয়ে রাহুলের সঙ্গে সম্প্রতি কথা বলেছেন তিনি। কংগ্রেস সূত্র বলছে, জাতীয় স্তরে শুধু নয়, আঞ্চলিক দলগুলির কাছেও পরিণত এই রাজনীতিকে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করার ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে উপযুক্ত আর কেউ হতে পারেন না। তাঁকে ইউপিএ-র আহ্বায়ক করার বিষয়েও ঘরোয়া ভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে।
চন্দ্রবাবুও আজ দিল্লিতে বলেন, ‘আমি অনুঘটক হিসেবে কাজ করছি। চেষ্টা করছি বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক জায়গায় আনার। কারণ, অর্থনীতি থেকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান— সব ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে মোদী জমানায়।’’ টিডিপি সূত্রের খবর, তেলঙ্গানায় মহাজোট গড়ার কাজে সফল হয়েছেন চন্দ্রবাবু। সেই সমীকরণ এখন দিল্লিতে প্রয়োগ করতে চান। কংগ্রেসেরও আপত্তি নেই তাতে।
এনডিএ ছাড়ার পর থেকেই মমতা থেকে মায়াবতী— আঞ্চলিক নেতানেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখছেন চন্দ্রবাবু। আজ কথা বলেন ফারুক আবদুল্লা, অরবিন্দ কেজরীবাল, মায়াবতী, শরদ যাদব ও যশবন্ত সিন্হার সঙ্গে। এ যাত্রায় কংগ্রেসের কারও সঙ্গে দেখা করেনি। তবে এ বিষয়ে বলেছেন, ‘‘দেখা করব না তা তো বলিনি!’’
মায়াবতী-মমতা-রাহুল না তিনি নিজে— কে হবেন বিজেপি বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী? এই প্রশ্ন করা হলে চন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘আমি দৌড়ে নেই। আমি অন্ধ্রেই ভাল আছি। কিন্তু দেশের প্রতিও আমার কর্তব্য রয়েছে। তাই আমি সক্রিয়।’’
চন্দ্রবাবু মনে করেন, লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা হলে জোট ভেস্তে যাবে। তাই ভোটের পরেই নেতা বেছে নেওয়া হবে। মোদী সরকার এখন রাজনৈতিক দলগুলিকে ভয় দেখিয়ে রেখেছে। কয়েক রাজ্যের আসন্ন ভোটে বিজেপি খারাপ ফল করলেই একাধিক আঞ্চলিক দল বিরোধী জোটে চলে আসবে।