চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে কোনও ভাবে বিরোধী জোটে ফাটল ধরাতে তৎপর হলেও চন্দ্রবাবু নায়ডু সেই ফাঁদে পা দিতে রাজি নন। রাহুল গাঁধীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রশ্ন, মানুষের অনাস্থা পৌঁছে দিতেই বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। তাতে মোদী কেন বিবাদ তৈরির চেষ্টা করছেন? নায়ডুকে পাশে টানতে কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলেই অন্ধ্রপ্রদেশকে প্রতিশ্রুতি মেনে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। তিনি কংগ্রেসের জোটে যোগ দেবেন কি না, তাকে অবশ্য ‘কাল্পনিক প্রশ্ন’ বলে এড়িয়ে গিয়েছেন নায়ডু।
গত চার বছর এনডিএ-সরকারে থাকা তেলুগু দেশম সমর্থন প্রত্যাহারের পর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে এবং তাতে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, সপা, জেডি(এস) থেকে গোটা বিরোধী শিবির এককাট্টা হয়ে যোগ দিচ্ছে দেখেই মোদী প্রমাদ গুণেছিলেন। তাই যখন কংগ্রেস রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নায়ডুদের মতো আঞ্চলিক দলের নেতানেত্রীদেরও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্খার প্রসঙ্গ তুলে এনে বিরোধ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটের মুখ কে হবেন, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেও বিরোধীদের ’ক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা আগে থেকেই করে যাচ্ছে। সেই চেষ্টাও সফল হতে দিতে রাজি নন চন্দ্রবাবু। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি মেনে নেবেন কি না, সেই প্রশ্নের জবাবেও নায়ডুর জবাব, ‘‘এই সব প্রশ্ন আসলে বিবাদ বাড়ানোর কৌশল।’’