শনিবার ফোনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ফের কি দেখা হবে? —ফাইল চিত্র।
বিজেপি-বিরোধী জোটের লক্ষ্যে এ বার উদ্যোগী হলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। আগামী ২২ নভেম্বর দিল্লির অন্ধ্রভবনে বিজেপি-বিরোধী নেতাদের একটি বৈঠকের আয়োজন করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এই বৈঠক নিয়েই শনিবার ফোনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। জানুয়ারিতে মমতার ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ নিয়েও তাঁদের কথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করেন চন্দ্রবাবু। এ দিন মমতাকে ফোন করে কলকাতায় তাঁর সঙ্গেও মুখোমুখি কথা বলতে চান তেলুগু দেশম নেতা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তবে সূত্রের খবর, আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত মমতার ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। চন্দ্রবাবু এ দিন কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌতের সঙ্গে বৈঠকের পরে জানিয়েছেন, ১৯ বা ২০ তারিখ মমতার সঙ্গে তাঁর আলোচনা হবে।
বিজেপি-বিরোধী মঞ্চের অন্যতম শরিক স্ট্যালিনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে মমতারও। শুক্রবার সেই স্ট্যালিনকে পাশে নিয়েই বিজেপি-বিরোধী শক্তিগুলিকে একমঞ্চে আনার লক্ষ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন চন্দ্রবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। ওঁর সঙ্গেও এ বার দেখা করতে যাচ্ছি।’’ শনিবার তিনি কংগ্রেস নেতা গহলৌতের সঙ্গে বৈঠক করেন। চন্দ্রবাবুর এই উদ্যোগ নিয়ে তৃণমূল মন্তব্য করেনি। দলের এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘‘বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনে মমতা সবার আগে উদ্যোগী হয়েছেন। গোটা বিষয়টির উপরে আমরা নজর রাখছি।’’
বিরোধীদের এই তৎপরতা সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘নায়ডু দেখা করতেই পারেন, তবে জগা-খিচুড়িতে আর আস্থা নেই মানুষের। এঁদের এক একটি দল এক এক রাজ্যে শক্তিশালী। সেই রাজ্যের বাইরে তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। সুতরাং এই জোট অসম্ভব।’’ চন্দ্রবাবুর এই উদ্যোগ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বিজেপি-বিরোধী জোট সম্পর্কে তিনি এ দিন বলেন, ‘‘কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। লোকসভা ভোটের রণকৌশল স্থির করবে হাইকম্যান্ড। রাজ্যে আমাদের তা মেনে চলতে হবে। এখানে প্রদেশ কংগ্রেস বা নেতাদের মতামতের গুরুত্ব নেই।’’ নায়ডু এ দিনও বলেন, বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্বে তিনি রাহুল গাঁধীকেই দেখতে চান।