পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি নির্মল যাদব (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)। —ফাইল চিত্র।
১৭ বছরের পুরনো এক নগদকাণ্ডে বেকসুর খালাস হলেন পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি নির্মল যাদব। ২০০৮ সালের এক দুর্নীতির মামলায় শনিবার রায় ঘোষণা করেছে চণ্ডীগড়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, এই মামলায় বাকি অভিযুক্তদেরও বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন। মামলার রায়ের প্রতিলিপি এখনও প্রকাশ হয়নি। তবে অন্যতম অভিযুক্ত নির্মল সিংহের আইনজীবী হিতেশ পুরী ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’কে বলেছেন, “অভিযুক্তেরা সকলেই বেকসুর খালাস পেয়েছেন।”
মামলাটি ২০০৮ সালের। ওই সময়ে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে প্রায় কাছাকাছি নামের দু’জন বিচারপতি ছিলেন। একজন বিচারপতি নির্মল যাদব এবং অন্য জন বিচারপতি নির্মলজিৎ কউর। ওই বছরের অগস্ট মাসে বিচারপতি কউরের চণ্ডীগড়ের বাসভবনের গেটের সামনে কেউ নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ফেলে রেখে গিয়েছিলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানান। তদন্তে দাবি করা হয়, ওই টাকা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি যাদবের বাসভবনের গেটের সামনে রাখার কথা ছিল। নাম-বিভ্রাটের কারণে নগদ ভুল ঠিকানায় পৌঁছে যায় বলে দাবি করা হয়।
পরে পঞ্জাবের তৎকালীন রাজ্যপাল এএফ রডরিগেজ়ের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে। ২০০৯ সালে সিবিআই একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। তবে আদালত তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআইকে। তার পরে ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একটি চার্জশিট জমা করে আদালতে। ওই চার্জশিটে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয় তৎকালীন বিচারপতি যাদবকে (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)। আজ ওই মামলায় বিচারপতি যাদবকে বেকসুর খালাস করল চণ্ডীগড়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।
এই বিতর্কের আবহে ২০১০ সালে বিচারপতি যাদবকে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট থেকে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টে বদলি করে দেওয়া হয়। পরের বছর সেখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন তিনি। ২০১৪ সালে বিশেষ সিবিআই আদালতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি যাদব-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। তার মধ্যে এক অভিযুক্ত ২০১৬ সালে মারা যান।