কর্নাটক বিধান পরিষদে অশান্তি। ছবি: টুইটার থেকে।
কর্নাটক বিধান পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন ডেপুটি চেয়ারপার্সনকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল সভার সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার প্রকাশিত ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ডেপুটি চেয়ারপার্সন ভোজেগৌড়ার আসন ঘিরে রয়েছেন কংগ্রেসের বিধান পরিষদ সদস্যেরা। এরপর তাঁদের মধ্যে কয়েকজন টেনেহিঁচড়ে ভোজেগৌড়াতে আসন থেকে উঠিয়ে দিলেন!
অশান্তিপর্ব চলাকালীন পৌঁছন বিধান পরিষদের চেয়ারপার্সন কে পি শেট্টি। তিনি এসেই সভা মুলতুবি করে দেন।
চেয়ারপার্সন শেট্টি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্য। ভোজেগৌড়া জেডি(এস)-এর। কিছুদিন আগেও রাজ্যে দু’দলের জোট সরকার ছিল। কিন্তু বর্তমানে শাসকদল বিজেপি-র ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দল। সম্প্রতি বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ বিল সমর্থনও করেছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি চাইছে জেডি(এস)-এর সাহায্য নিয়ে শেট্টিকে সরাতে। গত সপ্তাহে বিধান পরিষদে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার সরকার গো-হত্যা বন্ধের বিল এনেছিল। সে সময় অশান্তি এড়াতে শেট্টি সভা মুলতুবি করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘোষণা নেই, তবে ‘বহিরাগত’ এবং ‘দলতন্ত্র’ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর
এর পরেই বিশেষ অধিবেশন ডেকে গো-হত্যা বিল পাশ এবং শেট্টির অপসারণে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেবে বিজেপি-র একার শক্তিতে তা সম্ভব নয় বলে জেডি(এস) নেতৃত্বের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ করা হয়। মঙ্গলবার সেই অধিবেশন পরিচালনা করতে গিয়েই বিরোধীদের বাধার মুখে পড়তে হয় ভোজেগৌড়াকে।
কর্নাটক পরিষদীয় রাজনীতির ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষদের। কয়েক বছর আগে কর্নাটক বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন তিন বিজেপি বিধায়কের নীল ছবি দেখার ঘটনায় কন্নড় রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ প্যাংগংয়ে চিনা সেনাকে বোকা বানায় পানাগড়ের ‘পাহাড়ি বাহিনী’