সুপ্রিম কোর্টে নতুন হলফনামা দিল কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।
কয়েকটি রাজ্যে হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দেওয়ার কথা পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্র। যে রাজ্যগুলিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তুলনামূলক কম, সেই রাজ্যগুলির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল মোদী সরকার।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানায় ভবিষ্যতে দেশে অনিচ্ছাকৃত জটিলতা এড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি নতুন হলফনামা দাখিল করছে তারা। এর আগে গত ২৭ মার্চ এ নিয়ে একগুচ্ছ রিট পিটিশনের বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্র। হলফনামায় বলা হয়, খ্রিস্টান, শিখ, মুসলিম, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন—এই ছয়টি সম্প্রদায়কে জাতীয় স্তরে সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করা হয়। তবে যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস কম, সেখানকার হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিন্দুদের একটি ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করতে পারে। যদি সেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম থাকে। উদাহরণ হিসেবে ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার ইহুদিদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার কথা তুলে ধরা হয়। নতুন হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছিল, সংখ্যালঘু অবহিত করার বিষয়টি কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত থাকলেও, এ নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে বিশদে আলোচনা করতে চায় তারা।
আগে প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণী ভাগ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (এনসিএমইআই) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়। ওই ধারা অনুযায়ী মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিরা সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, দেশের মোট ৯টি রাজ্যে হিন্দুরাও সংখ্যালঘু।