ডাকঘরে মিলবে গঙ্গাজল

এ বার থেকে দেশের দেড় লক্ষ ডাকঘরে গঙ্গোত্রী এবং হৃষিকেশের গঙ্গার জল পাওয়া যাবে। তবে এর লিটারপ্রতি দাম এখনও ঠিক করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েক দিনের মধ্যেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ডাক ও তার মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৫
Share:

পটনা জিপিও-তে প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। রবিবার। ছবি: পি টি আই।

এ বার থেকে দেশের দেড় লক্ষ ডাকঘরে গঙ্গোত্রী এবং হৃষিকেশের গঙ্গার জল পাওয়া যাবে। তবে এর লিটারপ্রতি দাম এখনও ঠিক করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েক দিনের মধ্যেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ডাক ও তার মন্ত্রক।

Advertisement

আজ বিকেলে পটনার জিপিও চত্বরে ওই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং কেন্দ্রীয় টেলিকম প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিংহ। মনোজবাবু বলেন, ‘‘আপাতত ডাকঘরগুলিতে গঙ্গোত্রী ও হৃষিকেশের গঙ্গাজল মিলবে। নমামী গঙ্গে প্রকল্পে নদীর জল পরিশ্রুত হয়ে যাওয়ার পর বিহারের সুলতানগঞ্জের গঙ্গাজলও বিক্রি করা হবে।’’ উল্লেখ্য সুলতানগঞ্জ থেকে গঙ্গাজল নিয়েই ভক্তরা দেওঘরের বাবাধামে পুজো দিতে যান। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামকৃপাল যাদব, বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদীও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

গত মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি বাড়ি গঙ্গাজল পৌঁছে দেওয়া হবে। ডাক ও টেলিকম মন্ত্রকের যুক্তি, ২০১৪-১৫ সালে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’র ব্যবসা করে ৫০০ কোটি টাকা লাভ হয়েছিল। ২০১৫-১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অনেক বেসরকারি সংস্থা ওয়েবসাইটে গঙ্গাজল বিক্রি করে থাকে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সেই বাজার ধরতে এবং অতিরিক্ত আয়ের জন্য গঙ্গাজল বিক্রির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে ডাক দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন।

Advertisement

ই-কর্মাস ওয়েবসাইটে গঙ্গোত্রী থেকে সংগৃহীত ১ লিটার জলের দাম ৩০০ টাকা। ডাক বিভাগ লিটারপ্রতি গঙ্গাজলের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখতে চাইছে। তামিলনাড়ুর একটি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যের ১৭টি মন্দিরের প্রসাদ চেন্নাইয়ের ১ হাজার ৬২৬টি ডাকঘরের মাধ্যমে বিক্রি করে ডাক বিভাগ। মোটা অঙ্কের টাকাও তাতে লাভ হয়েছে। ডাক বিভাগের হিসেবে, দেশে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ডাকঘর রয়েছে। তার মাধ্যমে গঙ্গাজল বিক্রি শুরু করা হলে লাভের পরিমাণ অনেকটা বাড়বে।

ডাক মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিতে হিমসিম খাচ্ছিল মন্ত্রক। ওই প্রকল্প জোরকদমে শুরু হয়ে গেলে সেই সমস্যা অনেকটাই কাটবে। ডাক দফতর আরও জানায়, ৬ মাসের মধ্যে ৬৫০টি জেলার ডাকঘরে ‘পেমেন্ট ব্যাঙ্ক’ প্রকল্পও চালু করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement