Female Pension

কর্মরত মহিলারা পেনশনের ভাগ স্বামীকে না-ও দিতে পারেন! নয়া নিয়মে মায়ের ‘নমিনি’ হতে পারেন সন্তান

এর আগে মহিলাদের পেনশন তাঁর মৃত্যুর পর পেতেন তাঁর স্বামী। স্বামী না থাকলে বা তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকলেই সেই পেনশনের দাবিদার হতে পারতেন তাঁর সন্তান-সন্ততিরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

কর্মরত স্ত্রীর পেনশনের দাবিদার একমাত্র তাঁর স্বামীই হবেন না। কেন্দ্রের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে সরকারি মহিলা কর্মচারীরা চাইলে নিজেদের পেনশনের ‘নমিনি’ করতে পারবেন নিজের সন্তান-সন্ততিকেও। লোকসভা ভোটের মুখেই কর্মরত মহিলাদের পেনশন নিয়ে এই নতুন নিয়ম ঘোষণা করল কেন্দ্র।

Advertisement

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ এই ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পেনশন সংক্রান্ত বিধি ‘সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস রুলস ২০২১’-এ সোমবারই এই নতুন সংশোধন আনা হয়েছে। আর সংশোধনটি এনেছে পেনশন এবং পেনশন প্রাপক কল্যাণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় দফতর (ডিওপিপিডব্লিউ)।

কেন্দ্রের কর্মচারী, পেনশন এবং জনগণের অভাব-অভিযোগ সংক্রান্ত মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র। যে দফতর সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিয়ন্ত্রণাধীন। মঙ্গলবার নতুন ঘোষণা করার পরে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকার মহিলাদের সমানাধিকার দেওয়ার নীতিতে চলে। তাই দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা এই নিয়মে সংশোধন আনা হল।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে এই নতুন নিয়ম যেমন বাঁধা গত ভাঙল, তেমনই আগামী দিনে সমাজের উপরে সুদূরপ্রসারী প্রভাবও ফেলবে এই বদল।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগে মহিলাদের পেনশন তাঁর মৃত্যুর পর পেতেন তাঁর স্বামী। স্বামী না থাকলে বা তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকলেই সেই পেনশনের দাবিদার হতে পারতেন তাঁর সন্তান-সন্ততিরা। কিন্তু এখন থেকে সরকারি কর্মচারী মা নিজের পেনশনের জন্য স্বামীর বদলে ছেলেমেয়েদেরও উত্তরাধিকারী হিসাবে মনোনীত করতে পারবেন। কী ভাবে এই সুবিধার সুযোগ নিতে পারবেন মহিলা কর্মচারীরা? তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ডিওপিপিডব্লিউ।

সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মহিলা পেনশন প্রাপক বা সরকারি মহিলা কর্মচারীদের এ জন্য একটি লিখিত অনুরোধ করতে হবে তাঁর অফিসের সর্বোচ্চ প্রধানকে। সেখানে তাঁকে লিখতে হবে, ‘‘তাঁর মৃত্যুর পর পেনশনের অর্থ তাঁর স্বামীর বদলে নির্দিষ্ট পুত্র অথবা কন্যা অথবা পুত্র-কন্যাদের দিতে হবে। প্রক্রিয়াটি চলাকালীনও যদি কোনও ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়, তা হলেও এই নির্দেশই বজায় থাকবে।’’ এই লিখিত অনুরোধের ভিত্তিতেই প্রক্রিয়াটি শুরু হবে।

তবে, একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যদি সরকারি মহিলা কর্মচারীর কোনও সন্তান না থাকে, তবে তাঁর মৃত্যুতে তাঁর স্বামীই তাঁর পেনশনের অধিকারী হবেন। আবার স্বামী যদি কর্মচারীর মানসিক ভাবে অসুস্থ সন্তানের বয়সে নাবালক দেখভালকারী হন, তা হলেও ওই পেনশন প্রথমে তিনি পাবেন। পরে সন্তান সুস্থ হলে বা বড় হলে এবং পেনশন পাওয়ার যোগ্য বলে প্রতিপন্ন হলে, পেনশনের অর্থ সরাসরি তাঁর নামেই দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement