PM Narendra Modi

চাপ রাজকোষে, অন্ন যোজনায় সংশয়

কোভিড, লকডাউনের ফলে রুটিরুজিতে ধাক্কা লাগায় গরিব মানুষকে সুরাহা দিতে মোদী সরকার ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ চালু করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৪৪
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে বাড়তি রেশন দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও তেলঙ্গানায় রেশন দোকানের বাইরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি নেই দেখে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সরকারি অফিসারকে জোর ধমক দিয়েছিলেন। এ বার রেশন অন্ন যোজনা নিয়েই বিপাকে পড়েছে মোদী সরকার। এক দিকে আসন্ন গুজরাত ভোটের কথা ভেবে বিজেপির মধ্যে থেকেই সেপ্টেম্বরের পরেও অন্ন যোজনায় বিনামূল্যে বাড়তি রেশন দিয়ে যাওয়ার দাবি উঠেছে। অন্য দিকে ফসল নষ্ট হওয়ায় মজুত ধান-গমের পরিমাণ কমে যাওয়া ও ভর্তুকির বহর বাড়তে থাকায় এই যোজনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

Advertisement

কোভিড, লকডাউনের ফলে রুটিরুজিতে ধাক্কা লাগায় গরিব মানুষকে সুরাহা দিতে মোদী সরকার ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ চালু করেছিল। খাদ্য সুরক্ষা আইনে ৮০ কোটি মানুষকে যে কম দামে চাল-গম দেওয়া হয়, তার অতিরিক্ত আরও পাঁচ কেজি চাল বা গম প্রতি মাসে মাথা পিছু করে দেওয়ার ঘোষণা হয়েছিল। আপাতত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বছর শেষে গুজরাত নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকার কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে, অন্তত উৎসবের মরসুম পর্যন্ত এই রেশন দেওয়া হোক। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানেরও একই দাবি। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় গত মাসেই এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। আজ বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও এই দাবি তুলেছেন।

অর্থ মন্ত্রকের চিন্তার কারণ হল, চলতি অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাস, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে খাদ্য ভর্তুকিতে ইতিমধ্যেই ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হয়েছে। অর্থ বছরের বাকি ছয় মাস, অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত অন্ন যোজনা চালাতে হলে আরও ৮৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। তার আগের দুই বছরে প্রায় ২.৬০ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, খাদ্য সুরক্ষায় এমনিতেই একটি পাঁচ সদস্যের পরিবার ২৫ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে পাচ্ছিল। অন্ন যোজনায় আরও ২৫ কেজি খাদ্যশস্য বিনামূল্য দেওয়া হচ্ছে। কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে যখন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন এর প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা ভেবে দেখা দরকার।

Advertisement

কেন্দ্রের আরেকটি সূত্রের বক্তব্য, আবহাওয়ার কারণে এ বার গম ও ধান, দুইয়েরই ফসল কম হয়েছে। ফলে গমের রফতানি বন্ধ করতে হয়েছে। চালের রফতানিতেও রাশ টানতে হচ্ছে। মার্চ পর্যন্ত অন্ন যোজনা চালাতে হলে মজুত চালের পরিমাণ ন্যূনতম মজুতের পরিমাণের নীচে চলে যেতে পারে। গমের পরিমাণও ন্যূনতম সীমার কাছাকাছি চলে আসতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement