ফাইল চিত্র।
কোভিড এবং লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তাঁদের জন্য কেন্দ্র নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে। প্রকল্পটির নাম ‘অটল বিমিত ব্যক্তি কল্যাণ যোজনা’। প্রকল্পটি পরিচালনা করছে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআইসি)। ৫০ হাজার কাজহারা মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন।
এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করানোর সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২১-এর ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২২-এর ৩০ জুন করা হয়েছে।
কী এই প্রকল্প?
যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের আর্থিক সহায়তা করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এক জন কর্মহীন ব্যক্তি এই ভাতার সুবিধা পাবেন তিন মাস। গড় বেতনের ৫০ শতাংশ দাবি করা যাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। তবে কাজ হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রকল্পে টাকার জন্য আবেদন করা যাবে না। কাজ হারানোর ৩০ দিন পর সেই টাকা দাবি করা যাবে।
ইএসআইসি-র আওতায় রয়েছেন এমন কর্মীরা ইএসআইসি-র কোনও শাখায় গিয়ে আবেদন করতে পারেন। ইএসআইসি সেই আবেদন খতিয়ে দেখার পর তারা যদি মনে করে সমস্ত তথ্য ঠিক আছে তার পরই সেই আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে।
কারা এই সুবিধা পাবেন?
• কোনও বেসরকারি সংস্থায় (সংগঠিত ক্ষেত্র) কাজ করতেন এমন ব্যক্তি যাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) এবং ইএসআই প্রতি মাসে কাটা হত।
• সংস্থার কার্ড বা তথ্যের ভিত্তিতেই ওই কর্মী এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
• এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে মাসিক আয় ২১ হাজারের নীচে হতে হবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
‘অটল বিমিত ব্যক্তি কল্যাণ যোজনা’-র সুবিধা পেতে কী করতে হবে?
• ইএসআইসি-র ওয়েবসাইটে গিয়ে অটল বিমিত ব্যক্তি কল্যাণ যোজনা-র ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। এই লিঙ্ক থেকে ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে—https://www.esic.nic.in/attachments/circularfile/93e904d2e3084d65fdf77932
• ফর্ম পূরণ করার পর সেটি নিকটবর্তী ইএসআইসি-র শাখায় জমা দিতে হবে।
• ২০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারের উপর নোটারিকে দিয়ে হলফনামা লেখাতে হবে। সেটা ফর্মের সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে। এ ছাড়া এবি-১ এবং এবি-৪ ফর্মও জমা দিতে হবে।
• তবে কোনও ভুল কাজ বা দুর্ব্যবহারের জন্য কাজ হারালে সেই ব্যক্তিকে এই সুবিধা দেওয়া হবে না।
• এ ছাড়া কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলে অথবা কোনও কর্মী স্বেচ্ছায় অবসর নিলে তাঁদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে না।