Pegasus Spyware

Pegasus Snooping Row: ‘আইনি পথে আড়ি পাতা যায়, ছ’মাস থাকে তথ্য’

সরকার জানিয়েছে, দেশের যে কোনও ব্যক্তির উপরে আইনগত পথে ফোনে আড়ি পাততে পারে পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগের মতো আইনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ০৬:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ডে সরকারের জবাব চেয়ে উত্তাল সংসদের উভয় কক্ষ। এই আবহে আজ সরকার জানিয়েছে, দেশের যে কোনও ব্যক্তির উপরে আইনগত পথে ফোনে আড়ি পাততে পারে পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগের মতো আইনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলি। তবে সেই আড়ি পাতা সংক্রান্ত তথ্য ভবিষ্যতে আইনি কাজে দরকার না থাকলে প্রতি ছ’মাসের ব্যবধানে নষ্ট করে দেওয়া হয়ে থাকে বলে সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্র।

বিরোধীরা পেগাসাস প্রশ্নে আলোচনার দাবিতে সংসদের উভয় কক্ষে ফি দিন মুলতুবি প্রস্তাব আনছেন। যদিও সরকার এখনও এ নিয়ে আলোচনায় যেতে নারাজ। উল্টে আজ বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কারও ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ রয়েছে কি? কোন প্রমাণের ভিত্তিতে মেনে নিতে হবে যে ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল?

Advertisement

সরকার ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে যুদ্ধং দেহি আবহে আজ সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিটাসের করা প্রশ্নের উত্তরে নরেন্দ্র মোদী সরকার জানায়, টেলিগ্রাফ আইনের ৫(২) ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯ ধারায় আইনি পথে কোনও ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাততে পারে সরকার তথা পুলিশ-গোয়েন্দারা। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চহ্বাণ জানান, কোনও ব্যক্তির ফোনে যদি কেন্দ্রীয় কোনও গোয়েন্দা সংস্থা আড়ি পাতে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্য প্রশাসন যদি ফোনে নজরদারি চালায় সে ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

পেগাসাস কাণ্ডে জানা গিয়েছে, আড়ি পাতা অভিযান শুরু হয়েছিল ২০১৭ সাল থেকে। আজ সিপিএম সাংসদ ব্রিটাস জানতে চান, ২০১৬ সাল থেকে ভারতে কত জনের উপরে নজরদারি চালিয়েছে সরকার? জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, আইনি পথে আড়ি পেতে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, তা প্রতি ছয় মাসের ব্যবধানে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইনের প্রথম সংশোধনী (২০১৪) অনুযায়ী পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার আড়ি পেতে সংগ্রহ করা তথ্য ছ’মাসের মধ্যে নষ্ট করে ফেলার নির্দেশ রয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্র জানিয়েছে, একমাত্র ওই তথ্য যদি ভবিষ্যতে কোনও মামলা বা তদন্তের কাজে লাগার সম্ভাবনা থাকে, তবেই তা সংগ্রহ করে রাখার ছাড়পত্র রয়েছে। নয়তো নিয়ম অনুযায়ী তা নষ্ট করে দিতে হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement