Chinese Mobile Apps

অ্যাপের ফাঁদে আত্মহত্যা! টিকটক, পাবজির পর ২৩০টি ‘ক্ষতিকর’ চিনা অ্যাপ বন্ধ করল কেন্দ্র

এ দেশে আগেই টিকটক, পাবজি মোবাইল শেন, জ়েন্ডার-সহ আড়াইশোর বেশি চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই অ্যাপগুলিতে দেশের সুরক্ষার পক্ষে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে বলে দাবি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৪
Share:

১৩৮টি বেটিং এবং ৯৪টি মোবাইল অ্যাপ বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতীকী ছবি।

দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার পক্ষে ‘ক্ষতিকর’ ২৩০টি চিনা অ্যাপ ‘ব্লক’ (বন্ধ) করল কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে রয়েছে ১৩৮টি বেটিং অ্যাপ। বাকি ৯৪টি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পেতেন গ্রাহকেরা। অভিযোগ, চড়া সুদের ঋণ মেটাতে অপারগ হওয়ায় তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বহু গ্রাহক। কেউ আবার ওই অ্যাপের মাধ্যমে বেটিং করে মোটা অঙ্কের অর্থ খুইয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শে ওই সমস্ত অ্যাপকে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।

Advertisement

২০২০ সালের জুন থেকে এ দেশে টিকটক, পাবজি মোবাইল শেন, ক্যামস্ক্যানার, জ়েন্ডার-সহ আড়াইশোর বেশি চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই অ্যাপগুলিতে দেশের সুরক্ষার পক্ষে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে বলে দাবি ছিল কেন্দ্রের। এ বার চিনা অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের হেনস্থার ভূরি ভূরি অভিযোগ পেয়ে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি।

গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, প্রথম দিকে চিনা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সামান্য ঋণের জন্য গ্রাহকদের জোরাজুরি করা হত। তবে পরে আসলের উপর সুদের হার বছরে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল অ্যাপগুলি। এ ধরনের অ্যাপগুলির পিছনে কোনও না কোনও চিনা নাগরিকের হাত রয়েছে বলে দাবি। যাঁরা এ দেশে অ্যাপের দায়িত্বে ভারতীয়দের ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করতেন। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহক টানার পর ঋণগ্রহীতার উপর চাপ সৃষ্টি করা হত বলেও অভিযোগ। টাকা না ফেরালে তাঁদের ছবি বিকৃত করে অশ্লীল ভাবে প্রকাশ করার হুমকিও দেওয়া হত। তেলঙ্গানা, ও়ড়িশা-সহ বহু রাজ্যে এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি। বেটিংয়ের ‘ফাঁদে’ পড়ে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার মতো রাজ্যে আত্মহত্যার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। তেলঙ্গানা, ওড়িশা এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের পাশাপাশি অ্যাপগুলি বন্ধের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। তাঁদের আর্জি মেনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নড়েচড়ে বলে বলে দাবি।

Advertisement

মাস ছয়েক আগে ঋণপ্রদানকারী ২৮টি চিনা অ্যাপের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে সে সময় জানা যায় যে, এমন ৯৪টি অ্যাপ রয়েছে, যা ঋণদাতা এবং গ্রহীতা ছাড়াও অনলাইনে লিঙ্কের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের কাছে উপলব্ধ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement