National News

মোদীর কথায় শুক্রবারে আম-আড্ডায় মন্ত্রীরা

আমজনতার থেকে আরও নতুন বিষয় যেমন সরাসরি সরকারের কানে পৌঁছচ্ছে, তেমনই সরকারের থেকে জনতার প্রত্যাশা কী, কোথায় আরও সংশোধন জরুরি— তা জানা যাচ্ছে। আবার সরকার সেই বিষয়গুলিতে কী কাজ করছে, তা সরাসরি জানতে পারছেন সাধারণ নাগরিকেরা।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

নরেন্দ্র মোদী

রাজনীতিতে ছুটি বলে কিছু নেই।

Advertisement

তবু সপ্তাহান্তের আগে শুক্রবার কাজের চাপ একটু হাল্কা থাকে। সেই দিনটাতেই নিজের মন্ত্রীদের আমজনতার সঙ্গে ঘরোয়া মেজাজে আড্ডার দাওয়াই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এক মাস হল। দিল্লির অলিন্দে প্রায় নিঃশব্দেই শুরু হয়েছে এমন রেওয়াজ। এ যাবৎ চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— ধর্মেন্দ্র প্রধান, মেনকা গাঁধী, মুখতার আব্বাস নকভি এবং অর্জুন মেঘওয়াল এমন ঘরোয়া বৈঠকে সামিল হয়েছেন। আগামিকাল ফের শুক্রবার। কাল ‘আড্ডায়’ বসবেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা।

Advertisement

এক মন্ত্রী জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাবনাটি নতুন নয়। কিন্তু এ বার এটি বেশ গুছিয়ে করা হচ্ছে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেখানে যে কেউ নিজের পরিচয় দিয়ে জানাতে পারছেন তাঁর আগ্রহের বিষয়টি কী, অথবা কোন ক্ষেত্র নিয়ে তিনি সরকারের সঙ্গে মত-বিনিময় করতে চান। সরকারের তরফেও ওই নম্বরে আসা বার্তাগুলি খুঁটিয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে, কোন বিষয়ে কাদের পারদর্শিতা রয়েছে। সেই মতো প্রেরকদের মধ্য থেকে কয়েক জনকে বেছে নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।

মন্ত্রীর মতে, এটি দু’পক্ষের জন্যই উপযোগী। এর ফলে আমজনতার থেকে আরও নতুন বিষয় যেমন সরাসরি সরকারের কানে পৌঁছচ্ছে, তেমনই সরকারের থেকে জনতার প্রত্যাশা কী, কোথায় আরও সংশোধন জরুরি— তা জানা যাচ্ছে। আবার সরকার সেই বিষয়গুলিতে কী কাজ করছে, তা সরাসরি জানতে পারছেন সাধারণ নাগরিকেরা।

ক্ষমতায় আসার পরেই সরকারি কাজে জনতার অংশীদারি বাড়ানোয় জোর দিয়ে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। জনতাকে অংশীদার করেই ‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। পরের লোকসভা ভোটের ফলের অপেক্ষা না করেই ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘নতুন ভারত’ গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। সেটিও জনতাকেও শামিল করে।

বিজেপির একটি সূত্র মেনেই নিচ্ছে যে, মন্ত্রী-জনতার সরাসরি যোগাযোগের এমন পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। সাধারণত মন্ত্রীরা জনতার নাগালের বাইরে থাকেন। কিন্তু এই ব্যবস্থা চালুর পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষেরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটিও এক ধরনের ‘জনতা-দরবার’। সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকগুলিতে যুব সম্প্রদায়ের উপস্থিতিই থাকছে বেশি। ভোট যখন শিয়রে, তখন গোটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আম নাগরিকদের এই অংশকে পাশে টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। সব দেখে এখনই বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি ঢাক পেটাতে চাইছে না মোদীর দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement