সঙ্ঘের দাবির মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকারও আজ জানাল, রামমন্দির নিয়ে আইন করা সম্ভব। মোদী সরকারের এক মন্ত্রী আজ জানান, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বকেয়া থাকলেও সরকার আইন করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট যার ভিত্তিতে মামলার শুনানি করছে, সেটিই বদলে দেওয়া যায় নয়া আইনের মাধ্যমে। আদালতকে চ্যালেঞ্জ না জানিয়েও। প্রাক্তন বিচারপতি চেলমেশ্বর এই একই অভিমত জানিয়েছিলেন গত শনিবার।
সরকার কবে এই আইন করবে, তা অবশ্য বলেননি ওই মন্ত্রী। তবে অযোধ্যায় যে মন্দির তৈরি হবেই, তা বিশেষ জোর দিয়ে বলেন তিনি। বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, মন্দির তৈরির জন্য দু’ভাবেই আইন করা সম্ভব। অধ্যাদেশ এনে বা সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিল এনে। দু’টি বিকল্পের কথাই বিবেচনা করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, অযোধ্যা জমি মামলায় দ্রুত শুনানির প্রশ্ন নেই। শুনানির দিন স্থির হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। শীর্ষ আদালতের ওই রায়ের পর থেকেই গেরুয়া শিবির রাম নামের পারদ চড়াতে শুরু করেছে। গত কালই দিল্লিতে সাধুরা রামমন্দির নির্মাণের প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদীর উপরে আস্থা রেখে আইন আনার দাবি তুলেছেন। চলতি মাসের শেষে সাধুরা মন্দির নিয়ে কথা বলতে দেখা করবেন অমিত শাহের সঙ্গে। দীপাবলির দিন মোদী যাবেন কেদারনাথে। যোগী আদিত্যনাথও রামের সুবিশাল মূর্তি তৈরির কথা ঘোষণা করতে চলেছেন। দীপাবলিতে রামের নামে প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন সকলকে।
সম্ভাব্য সব রকম ভাবে রামের নামে হাওয়া তোলার এই চেষ্টাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের পি চিদম্বরম আজ বলেন, ‘‘মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম বছরে শুধু উন্নয়ন, চাকরি, কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেকের ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার কথাই বলে এসেছে। একটিও পুরো হয়নি। পাঁচ বছরের মেয়াদ ফুরনোর মুখে এখন নতুন প্রতিশ্রুতি হল, রামের বড় মূর্তি আর মন্দির নির্মাণ!’’