লালকেল্লার প্রবেশপথে ভাঙচুর। ছবি— রয়টার্স।
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর মিছিলকে ঘিরে লালকেল্লায় যে তাণ্ডব চলেছে, তাতে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৪০০ বছরের পুরনো এই স্থাপত্যের। বৃহস্পতিবার সেই ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দিয়েছেন কেন্দ্রের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেছেন, লালকেল্লার টিকিট কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়েছে। লাহোরি গেটও চালানো হয়েছে তাণ্ডব। অনেক জায়গার লাইট ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এই সব ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দেওয়া যাবে বলে মনে করেন প্রহ্লাদ। কিন্তু ঐতিহ্যময় স্থাপত্যের নির্মাণের যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা অপূরণীয় বলে মনে করছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘লাইট, টিকিট কাউন্টারের যে ক্ষতি হয়েছে তার মূল্য দেওয়া যাবে। কিন্তু স্থাপত্যের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা যাবে না। সেগুলি অমূল্য।’’ মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যেখানে পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, লালকেল্লার সেখানে কয়েকটি মিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রিকোণাকার তিনটি আকৃতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একটি পাওয়া গিয়েছে।’’
প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্দোলনকারীদের একটি দল লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে। সেখানে তাঁরা একটি মিনারে শিখদের ধর্মীয় পতাকা ‘নিশান সাহিব’ লাগিয়ে দেন। সে সময় পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়। সেখানে ভাঙচুরের বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।