নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে কর্মসংস্থানের হিসেব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিরোধীরা। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খোদ ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস (এনএসএসও)-এর তৈরি বেকারির হিসেব, যা গত ৪৫ বছরে সবচেয়ে বেশি। মুখে ওই রিপোর্টকে চূড়ান্ত নয় বলে দাবি করলেও এ নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী সরকার। এই অস্বস্তির মধ্যেই কয়েক লক্ষ নতুন কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির খতিয়ান পেশ করল মোদী সরকার। অন্তর্বর্তী বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের পেশ করা তথ্য দেখাচ্ছে, ২০১৭ থেকে ২০১৮-র মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে আড়াই লক্ষেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। এ বছর মার্চের মধ্যে সংখ্যাটা তিন লক্ষ ৮০ হাজারে পৌঁছবে বলে দাবি করা হয়েছে বাজেট নথিতে। অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেট নথি অনুযায়ী, রেল, পুলিশ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর বিভাগেই কেন্দ্রীয় সরকারের সবচেয়ে বেশি চাকরি হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ সূচক বক্তৃতায় চাকরি নিয়ে বলতে গিয়ে ক’দিন আগেই মোদী প্রভিডেন্ট ফান্ড, জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা, আয়কর রিটার্ন এবং গাড়ি বিক্রির সংখ্যার হিসেব কষেছেন। মোদীর দাবি, তাঁর আমলে পরিবহণ, হোটেল, পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়েক কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবি মানতে নারাজ সিএমআইই নামে একটি উপদেষ্টা সংস্থার প্রধান মহেশ ব্যাস। তাঁর দাবি, পিএফ-এর হিসেব কখনও নতুন চাকরির মাপকাঠি নয়।
এ দিনও কর্মসংস্থান নিয়ে মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। এ প্রসঙ্গে ক’দিন আগে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টেরও উল্লেখ করেন রাহুল। ওই রিপোর্টে এক উবের চালক জানিয়েছেন, সরকার কোনও চাকরি দেয়নি, তাই তিনি লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে নিজের কাজের ব্যবস্থা করেছেন। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাহুল বলেন, অপদার্থতার সঙ্গে উদ্ধত্যের মিশ্রণে তৈরি এই সরকার ‘নৈতিক দেউলিয়াপনার আদর্শ উদাহরণ’।